আগরতলা,১০জুন : বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে উপলক্ষ করে শনিবার একই দিনে একই সময়ে ভারতের ৫টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বার্ড ওয়াকস কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এই জায়গাগুলি হল ত্রিপুরার আগরতলা, দেরাদুন, গোয়া রাজ্যের পাঞ্জিম, তিরুপতি এবং মাইসুর শহরে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা "রেইন মেটার ফাউন্ডেশন" এবং "আর্লি বার্ড ফাউন্ডেশন" এই দুটি এন জি ও এর যৌথ উদ্যোগে পাখি পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আগরতলায় এই কর্মসূচির সহযোগিতায় ছিল ওয়াল্ড ত্রিপুরা ফাউন্ডেশন। এদিন মোট ২২জন কচিকাঁচা ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে রাজধানীর এমবিবি কলেজ সংলগ্ন লেইকের আশেপাশে এলাকায় বিচরণকারী বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখানো হয়।
ওয়াইল্ড ত্রিপুরা ফাউন্ডেশনের সদস্য এবং আগরতলা কৃষি কলেজের অধ্যাপক ড. দীপক সিনহা এদিনের কর্মসূচী সম্পর্কে বলেন, মূলত ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা তৈরি করতে এবং পরিবেশ পাখি জীবজন্তু সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করতে, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের পাখির প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ৯থেকে ১৩বছর বয়সী ছেলের মেয়েদের নিয়ে এদিনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আগরতলায় মোট ২২জন ছেলে-মেয়ে অংশ নেয়। রাজধানীর এম বি বি কলেজ লেকের পড়ের সবুজ এলাকায় ঘুরিয়ে বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখানো হয়। এই জন্য বাইনোকুলার ও ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। সবুজ গাছগাছালির মধ্যে পরিদর্শনকালে যত ধরনের পাখি দেখা গিয়েছে এগুলোর সাথে ছেলেমেয়েদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওয়াইল্ড ত্রিপুরা ফাউন্ডেশনের আর এক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুজিত রাজ দাস চৌধুরী বলেন, রাজ্যের যে সকল সংস্থা পরিবেশ এবং প্রকৃতি নিয়ে কাজ করছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন একটি হচ্ছে এই ওয়াইল্ড ত্রিপুরা ফাউন্ডেশন। গত দশ বছর ধরে প্রকৃতি বিষয়ক নানা কাজকর্ম করে চলছেন তারা। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়ে এবং প্রকৃতির মধ্যে একটি দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। দিন দিন এই দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকৃতি সঙ্গে নব প্রজন্মের যাতে দূরত্ব কম করা যায় তাই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আগামী দিনেও তারা এই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করবেন চাল-মেয়েদেরকে নিয়ে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এতে অংশগ্রহণকারী ছেলে-মেয়েরা জানায় খুব আনন্দের সঙ্গে তারা এই কর্মসূচি উপভোগ করেছে বলে জানান। অনেক সুন্দর সুন্দর রংবেরঙের পাখি তারা দেখতে পেরেছেন। তাদের সঙ্গে থাকা বিশেষজ্ঞরা এগুলির নাম বাসস্থান খাবার-দাবার ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেছেন তাদের সামনে। আগামী দিনে এ ধরনের কর্মসূচি করা হলে তারা অংশ নেবেন বলে জানান।
0 মন্তব্যসমূহ