প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশের দিশাতেই এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরাও: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৯ জুন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশ দিশাতেই ত্রিপুরা রাজ্যে কাজ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম লক্ষ্য সেবা, সুশাসন ও গরীব কল্যাণ। দেশের মানুষকে সুশাসন দেওয়া ও মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। আর প্রধামন্ত্রীর নির্দেশিত মার্গ দর্শনে ত্রিপুরাতে কাজ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারও। মুখ্যমন্ত্রীও সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। শুক্রবার রাজধানীর ঊষাবাজার সংলগ্ন একটি বেসরকারি হোটেলে আয়োজিত ভারতীয় জনতা এস.সি মোর্চার প্রদেশ কমিটির কার্যকারিণী বৈঠকে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 

এদিন প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে বৈঠকের সুচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই নির্ধারিত সময়ে এই কার্যকারিণী বৈঠক করা হয়ে থাকে। বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি জনসাধারণের সঙ্গে আরো নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পরামর্শ দেন। একইভাবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন। যাতে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে আরো অধিক ভোটের মার্জিনে দলীয় প্রার্থীদের জয়যুক্ত করা যায়। সেই সঙ্গে বিগত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের তিনটি তপশিলি সংরক্ষিত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের পরাজয় কেন হয়েছে সেবিষয়ে মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করার আহ্বান রাখেন। 

বৈঠকে সরকারি তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাবু জগজীবন রাম ছাত্রাবাস যোজনায় ২০২৩ - ২৪ অর্থ বছরে ৩টি ছাত্রাবাস নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকারের প্রকল্পে ২০১৮ - ১৯ থেকে ২০২২ - ২৩ অর্থ বছরে ৩০ হাজার ৮৩৬ জন ছাত্রছাত্রীকে বি আর আম্বেদকর মেরিট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০২২ - ২৩ অর্থ বছরে ৯ হাজার ৩৩২ জন ছাত্রছাত্রীকে মেরিট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছর ১ হাজার ২৬ জন ছাত্রছাত্রীকে বোর্ডিং হাউজ স্টাইপেন্ড প্রদান করা হয়েছে। গত ৫ বছরে ৯ হাজার ৩৫২ জন সুবিধাভোগীকে (বেনিফিশিয়ারি) মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তপশিলি জাতি ভুক্ত ৬ হাজার ৪৫৯ জন সুবিধাভোগীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে ২০১৮ - ১৯ থেকে ২০২২ - ২৩ অর্থ বছরে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে মোট ৫৬ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। কিভাবে মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা যায় সেটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অন্যতম লক্ষ্য। 

এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসসি মোর্চার প্রদেশ সভাপতি টুটন দাস, প্রাক্তন বিধায়ক ডা: দিলীপ কুমার দাস, দলের প্রদেশ সম্পাদক রতন ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।