Advertisement

Responsive Advertisement

আগরতলার হেরিটেজ পার্কে অনুষ্ঠিত ফরেস্ট ফুড ফেস্টিভেল


আগরতলা, ১০জুন : রাজধানী আগরতলার হেরিটেজ পার্কে শনিবার ফরেস্ট ফুড ফেস্টিবল-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। বনদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই ফরেস্ট ফুড ফেস্টিভেলের উদ্বোধন করেন মুখ্য বন সংরক্ষক কে এস শেঠি। তার সঙ্গে ছিলেন পিসিসিএফ ড. অবিনাশ এম কানফাডে, পিসিসিএফ আর কে শ্যামল, ত্রিপুরা বায়োডাইভারসিটি বোর্ডের মেম্বার সেক্রেটারি প্রবীণ আগরওয়াল প্রমুখ।
ফুড ফেস্টিভেলের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্য বন সংরক্ষক কে এস শেঠিবলেন, জনজাতিদের রোজগার বৃদ্ধির লক্ষ্যেই বনদপ্তর এ ধরণের উৎসবের আয়োজন করেছে। সরকার জনজাতিদের জীবনধারা ও খাদ্যাভাসকে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, বনজখাদ্য রাজ্যের শুধু জনজাতিদের মধ্যেই জনপ্রিয় নয়, অন্যান্য অংশের মানুষের কাছেও সমান জনপ্রিয়। এই উৎসবের মূল লক্ষ্য হল বনজ খাবারকে সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসা। তাছাড়াও এই উৎসব স্বসহায়ক দল ও যৌথ বন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের রোজগার বাড়াতেও সহায়ক হবে।
পাশাপাশি এই সকল বনজ সম্পদের ভ্যালু এডিশন যাতে হয় এবং প্রকৃতির কোন ধরনের ক্ষতি না করেই জনজাতির অংশের মানুষ এগুলোকে সংগ্রহ করছেন তারা বিক্রির মাধ্যমে যাতে অধিক লাভবান হন। এই খাবারগুলি সম্পূর্ণরূপে অর্গানিক কারণ এগুলোতে কোন ধরনের কীটনাশক বা সার প্রয়োগ করা হয় না। তাই এসব খাবার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী বলেও জানান।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনসংরক্ষক কে শ্যামল বলেন, বনজখাদ্য জনজাতিদের জীবন জীবিকার মান উন্নয়নে দিশা দেখাচ্ছে। বনজখাদ্যকে জনপ্রিয় করতে বন সংরক্ষণের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা বায়োডাইভারসিটি বোর্ডের সদস্য সচিব প্রবীণ আগরওয়াল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা এস প্রভু ও বনদপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ। উৎসবে বিভিন্ন স্বসহায়ক দল, যৌথ বনব্যবস্থাপনা কমিটি ও জনজাতি অংশের বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাবারের দোকান খোলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বন সচেতনতার উপর নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এদিনের এই উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন স্ব সহায়ক দলের সদস্যরা খাবারের স্টল নিয়ে আসেন। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর উপস্থিত অতিথিরা খাবার-দাবারের স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন, আধিকারিক অনিমা দাস তাদেরকে স্টল গুলি ঘুরিয়ে দেখান। ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে মানুষ এই স্টল গুলো থেকে জনজাতিদের চিরাচরিত খাবার খেয়েছেন। এর আগেও একবার ফরেস্ট ফুড ফেস্টিভেল অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজধানীর অক্সিজেন পার্কে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ