আগরতলা, ১৭ জুলাই: ইউনিটি মল স্থাপনের লক্ষ্যে সোমবার আগরতলা সংলগ্ন হাপানিয়া এলাকায় জমি পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই প্রকল্পের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে।
পরিদর্শন কালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (পিসিসিএফ) কে এস শেঠি, মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী, আগরতলা স্মার্ট সিটির সিইও ড: শৈলেশ কুমার যাদব, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি সহ রাজ্য প্রশাসনের অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ। প্রস্তাবিত জায়গাটির সবদিক বিবেচনা করে সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা খুব সহসাই ইউনিটি মলের নির্মাণ কাজ শুরু করার ঘোষণা দেন। এবিষয়ে তিনি জানান, লাইট হাউজ প্রকল্পের মতো ইউনিটি মলও সারা দেশে গড়ে তোলা হবে। আমাদের রাজ্যেও এমন একটি ইউনিটি মল স্থাপনের জন্য বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, বটতলায় অবস্থিত পুরানো ত্রিপুরা রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (টিআরটিসি) পড়ে থাকা জায়গাটি বিবেচনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে জায়গা অনেকটা অপর্যাপ্ত ছিল। তাই হাপানিয়া এলাকার জায়গাটি পরিদর্শনের পর দেখা যায় এটি প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। যা ইউনিটি মল স্থাপনের জন্য খুবই আদর্শ ও উপযুক্ত বলে ধরে নেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, ইউনিটি মল গড়ে তোলার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের পণ্যগুলিও প্রদর্শন করা। সেই সঙ্গে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী বাংলাদেশও এই প্রকল্পে সামিল হওয়ার জন্য তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাই তাদের জন্যও জায়গা সংরক্ষণ করে রাখা হবে। এই জায়গাটি যোগাযোগের জন্যও খুবই উপযুক্ত হবে এবং পার্কিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখা সম্ভব হবে। জায়গাটি পরিদর্শন করার পর এখানেই ইউনিটি মল স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশনা মোতাবেক ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ইউনিটি মলটি দেশব্যাপী উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই প্রকল্পের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা।
0 মন্তব্যসমূহ