আগরতলা, ১৩ জুলাই: আন্তর্জাতিক সীমান্ত সুরক্ষিত করে রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুপ্রবেশ রোধ করার ক্ষেত্রে সরকারী কার্যকরী ব্যবস্থা প্রয়োজনে আরো জোরদার করে রাজ্যের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সীমান্ত সুরক্ষায় বিএসএফ জওয়ানদের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ সমন্বয় সাধন করে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা আনীত একটি জনস্বার্থ সম্বলিত নোটিশের জবাব দিতে গিয়ে এই তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৫৬ কিলোমিটার। তাই দীর্ঘ এই আন্তর্জাতিক সীমানার ফলে রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশের সমস্যা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমানা অর্থাৎ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমানার প্রায় ৫০ কিলোমিটার জায়গায় বিভিন্ন কারণে এখনো কাঁটাতারের বেড়ার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এই ৫০ কিলোমিটার সীমানার মধ্যে নদী, উপত্যকা, নালা ইত্যাদি রয়েছে। সেই সঙ্গে সামান্য কিছু জায়গায় বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের আপত্তির কারণে কাঁটাতারের বেড়ার কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। এই কাঁটাতারহীন অঞ্চল এবং কোথাও কোথাও কাঁটাতার কেঁটে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্যে প্রবেশ করার সুযোগ গ্রহণ করছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করতে রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকায় মোট ১৮ ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) মোতায়েন রয়েছে। রাজ্য পুলিশও রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ কাজ প্রতিরোধ করতে বিএসএফ জওয়ানদের সাথে সক্রিয় সমন্বয় সাধন করে কাজ করছে। রাজ্য পুলিশ বিএসএফের সাথে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় যৌথ পেট্রোলিং, তথ্য আদান প্রদান এবং যৌথভাবে কর্তব্য পালনের মাধ্যমে অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ রোধে কাজ করছে।
একটি পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিগত ২০২১ এর ১লা জানুয়ারি থেকে ২০২৩ এর ১০ই জুলাই পর্যন্ত ভারতীয় পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী বেশকিছু মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এতে অবৈধ বাংলাদেশী ও অনেক রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার হয়েছে। এই প্রায় তিন বছরের পরিসংখ্যানে মোট মামলা হয়েছে ৩৫টি। মামলার পিআর (Prosecution Reports) এর সংখ্যা ১২০টি। মোট গ্রেপ্তার হয়েছে ২৩৫ জন অভিযুক্ত।
0 মন্তব্যসমূহ