Advertisement

Responsive Advertisement

সরকারি গাড়ির নাম্বার প্লেট লাগিয়ে নেশা পাচারের সময় আটক দুই

আগরতলা, ৩০ জুলাই: রাজ্য পুলিশ নেশা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যত বেশি সক্রিয় হচ্ছে, ততই নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে পাচারকারীরা। পুলিশের যাতে কোন ধরনের সন্দেহ না হয় তাই পাচারকারীরা তাদের গাড়িতে সরকারি দপ্তরের বোর্ড লাগিয়ে নেশা সামগ্রী পাচার করছে। এই ভাবে পাচার করার সময় দুই নেশা কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হলো পুলিশ।
 রবিবার সদর মহকুমার এসডিপিও দেবপ্রসাদ রায় পূর্ব আগরতলা থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথায় জানান। তিনি বলেন পূর্ব আগরতলা থানার কাছে বিশেষ সূত্রের খবর আসে যে সরকারি দপ্তরের গাড়ির প্লেট লাগিয়ে নেশা কারবারিরা নেশা সামগ্রী পাচার করছে। বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পূর্ব আগরতলা থানার ওসি রানা চ্যাটার্জির নেতৃত্বে একটি টিম শনিবার রাতে রাজধানীর আস্তাবল মাঠ সংলগ্ন মরা চৌমুহনী এলাকায় ওত পেতে বসে। বিশেষ গাড়িটি ওই এলাকায় আসতেই পুলিশ এটিকে আটক করে এবং গাড়ি থেকে দুই নেশা কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছে দুটি কৌটায় প্রায় ২৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে দুটি মোবাইল ফোন আটক করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে পূর্ব আগরতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান। আটক দুই নেশা কারবরির নাম যথাক্রমে, কানু দাস এবং তাপস কর্মকার। এদিন আটককৃত নেশা সামগ্রী গুলির মূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা এবং গাড়িটির মূল্য ১৪ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার সামগ্রী আটক করা হয়। এনডিপিএস আইনে মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। 
গাড়িতে যে বিশেষ প্লেটটি লাগানো ছিল তার একদিকে রাজ্য সরকারের নগর উন্নয়ন দপ্তরের সহ অধিকর্তা এবং অপরদিকে ত্রিপুরা হাউজিং ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের উপদেষ্টার গাড়ির উল্লেখ রয়েছে। নেশা কারবারিরা এই ধরনের প্লেট লাগানোর কারণ হিসেবে জানিয়েছে, পুলিশ মূলত সরকারি আধিকারিকদের গাড়িতে কখনো তল্লাশি চালায় না। তাই এ ধরনের নেমপ্লেট লাগানো থাকলে পুলিশের দুচোখে ধুলা দিয়ে নিঃসন্দেহে নেশা সামগ্রী নিয়ে চলাফেরা করা সম্ভব হয় শহরের যেকোনো এলাকায়। এমন আরো অনেক পাচারকারী ভুয়া নেমপ্লেট ব্যবহার করে নেশা সামগ্রী পাচার করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি।
 পাশাপাশি পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ এক বাইক চোরকেও আটক করতে সক্ষম হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। তিনি জানান গত ৯ জুলাই রাজধানীর অভয়নগর এলাকা থেকে একটি মোটর বাইক চুরি হয় বলে পূর্ব আগরতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মোটর বাইকটি রাজধানীর পার্শ্ববর্তী টাকারজলা এলাকায় রাখা রয়েছে। সূত্রের পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরির যাওয়া বাইকটিকে উদ্ধার করা হয় এবং এর সঙ্গে জড়িত একজন চোরকেও আটক করা হয়, তার নাম প্রয়োগ সিংহ বলে জানিয়েছেন। তাদের সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে তাও জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এসডিপিও।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ