আগরতলা, ১৮ জুলাই : মৎস্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করতে গ্রামীণ এলাকার মৎস্যচাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। রাজ্যে বিজ্ঞানসম্মতভাবে মৎস্যচাষের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আজ মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস ফটিকরায় নজরুল কলাকেন্দ্রে ২৩তম জাতীয় মৎস্যচাষি দিবস উপলক্ষে এক দিবসীয় রাজ্যভিত্তিক কর্মশালার উদ্বোধন করে একথা বলেন। কর্মশালায় রাজ্যের সফল মৎস্যচাষিরা অংশ নেন। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস।
অনুষ্ঠানে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, মৎস্য উৎপাদনে আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে। এটা আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, এখন রাজ্যে বার্ষিক মাছ উৎপাদন হয় ৮২,০৮৪ মেট্রিক টন। যদিও আগের তুলনায় মাছের উৎপাদন বেড়েছে। ঘাটতি পূরণে অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানি করতে হয়। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বড় জলাশয় নেই, নদীগুলিতে সারা বছর জল থাকেনা। এই অবস্থায় দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সারা রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে যে জলাশয়গুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে সেগুলিকে মৎস্যচাষের উপযোগী করে তোলা হবে। এই জলাশয়গুলি যদি সঠিকভাবে মৎস্য উৎপাদনের কাজে লাগানো যায় তবে ঘাটতি মিটিয়ে উদ্ধৃত্ত মৎস্য উৎপাদন করা সম্ভব। তিনি বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে দপ্তর কাজ করছে এতে আগামী দুই বছরে মৎস্য উৎপাদনে গুণগত পরিবর্তন আসবে। কিভাবে বারো মাস মৎস্যচাষ করা যায় সে বিষয়ে মৎস্যচাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে মৎস্যমন্ত্রী দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস বলেন, মাছ চাষ খুবই লাভজনক পেশা। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এবছর বাজেটে মৎস্য দপ্তরের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে রাজ্যে মৎস্য উৎপাদন, রেনু উৎপাদন, মাছের পোনা উৎপাদন সহ মৎস্য হেচারী করে যেসমস্ত মৎস্যচাষিরা বিশেষ সাফল্য পেয়েছেন তাদের পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়া মৎস্য উৎপাদনে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলাকে ও শ্রেষ্ঠ মহকুমা হিসেবে সোনামুড়া মহকুমা কার্যালয়কে পুরস্কৃত করা হয়। কর্মশালায় মৎস্যচাষিরাও মতবিনিময় করেন এবং সোনামুড়া মৎস্য তত্ত্বাবধায়ক কামাল হুসেন গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে মৎস্য চাষের গুরুত্ব ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে মৎস্যচাষের উপর আলোচনা করেন। কর্মশালায় এছাড়া বক্তব্য রাখেন ঊনকোটি জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সজল বিশ্বাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ।
0 মন্তব্যসমূহ