আগরতলা, ১৪ জুলাই: সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) কঠোর সমালোচনা করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। শুক্রবার ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক কর্মসূচি থেকে এই বার্তা দেন তিনি।
তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং টিএমসি নেতাদের গণতন্ত্র কী এবং কীভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করা যায় সেটা বোঝার জন্য ত্রিপুরা ঘুরে যাওয়ার আহ্বান রাখেন ত্রিপুরার চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলীয় কর্মীদের ত্রিপুরার তৃণমূল সমর্থকদের কাছে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সহিংস পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করার আহ্বান রাখেন। যেখানে সহিংস রাজনীতির বলি হয়ে অন্তত ১৮ জনের প্রাণ গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা গুরুত্বের সঙ্গে বলেন, রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কে তাদের অবহিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অন্তত ১৮ জন লোক প্রাণ হারিয়েছিলেন। গণতন্ত্রের প্রকৃত মর্ম বোঝার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের ত্রিপুরায় আসা উচিত। কারণ আমরা গুন্ডামি না করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন বিজেপি দলের কর্মীদের খুনে জড়িত থাকার জন্য তৃণমূল কর্মীদের ভূমিকার নিন্দা করেন। তৃণমূলের সহিংসতার ইতিহাস সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করা এবং এতে তাদের দলীয় কর্মীদের মানসিকতা প্রকট করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, তৃণমূল কিভাবে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের এবং ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের টার্গেট করে সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে। কিভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যায় তা জানতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ত্রিপুরায় আসা উচিত। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় কোনো সহিংসতা বা গণ্ডগোল ছাড়াই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি উল্লেখযোগ্য নজির স্থাপন করেছে। ত্রিপুরায় নির্বাচনের সময়কাল খুবই শান্তিপূর্ণ এবং ঝামেলামুক্ত ছিল।
0 মন্তব্যসমূহ