Advertisement

Responsive Advertisement

খোয়াইতে মরশুমের প্রথম দিন ২৯,৫৪৪ কেজি ধান সহায়ক মূল্যে বিক্রি করলেন স্থানীয় চাষীরা

আগরতলা, ১১জুলাই : খোয়াই মহকুমায় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর এবং খাদ্য, জন সংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে মঙ্গলবার স্থানীয় খাদ্য-গোদাম এলাকায় রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প সরকারি সাহায্য মূল্যে ধান ক্রয় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাস। উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত মহকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়ক শ্রীকান্ত নাথ, কৃষি সেক্টর অফিসাররা এবং এলাকার কৃষি সহায়করা। খাদ্য দপ্তরের তরফে ছিলেন সাব ডিভিশনাল কন্ট্রোলার সঞ্জীব দেববর্মা এবং তার অন্যান্য সহ্যকর্মীবৃন্দ। বিগত বছরের মতো বিপুল পরিমাণে ধান ক্রয় এইবার দেখা না গেলেও আধিকারিকদের সাথে মত বিনিময় করে জানা যায় যে, MSP বা নূন্যতম সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কিনার ফলে বাজারে বিভিন্ন মিলের পক্ষ থেকে পাইকাররা অস্বাভাবিক বেশি মূল্যে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছে কৃষকের বাড়ি থেকে। এলাকার কৃষকরা স্বীকার করেন যে কেজি প্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা উনারা ঘরে বসে ধান বিক্রি করে দাম পাচ্ছেন নগদে। যদিও বাজারে চালের বাড়তি দাম এবং সরকারি উদ্যোগে বিগত বছর গুলিতে নিয়মিতভাবে এমএসপি তে ধান কেনা এর মূল কারণ। তাই এই বৃষ্টির মরশুমে ধান মজুদ রাখার সমস্যায়, সরকারি ধান কেনা শুরুর আগেই ভালো দাম পেয়ে তারা ধান বিক্রি করে দিয়েছেন স্থানীয় পাইকারদের। কারণ সরকারি বিক্রিতে অনেক নিয়ম কানুন মেনে, ভালো করে ধান শুকিয়ে, নিজে বস্তায় পুরে, গাড়ি করে লাইন ধরে বিক্রি করতে হয়। আর অন্যদিকে এইসব নিয়ম নীতি ছাড়াই পাইকাররা ঘরে এসে নগদ টাকায় প্রায় সম মূল্যে অনেক সময় বেশি দামে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছে। 
প্রথমদিনের ধান কেনা শেষ হলে জানা যায় ১৫ জন কৃষক প্রায় ৭০৫ বস্তায় ২৯,৫৪৪ কেজি ধান এইদিন বিক্রি করেছেন।
উপস্থিত অধিকারীরা জানিয়েছেন যে এইবার ধান বিক্রেতা কৃষকদের উপস্থিতি কম হলেও, এই ব্যাপারটা উৎসহজনক যে আমাদের রাজ্যের কৃষক ভাইয়েরা উৎপাদিত ফসলের সঠিক দাম পেয়েছেন বলেই নূন্যতম মূল্যে তারা সরকারকে বিক্রি করতে চাইছেন না। অথচ কিছু বছর আগেও ধানচাষ লাভবান পেশা না বলে অনেকে ধানচাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার অঙ্গীকার আজকে সফলতার মুখ দেখছে। 
ট্রপিক্যাল বিভারেজ প্রাইভেট লিমিটেড, আগরতলার কোম্পানি রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তরের সাহায্যে এই ধান আজকে কিনার সময় অনেক কৃষকরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কৃষকের ধানের বস্তায় রিজেকসনের পরিমাণ ছিল অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। কুইন্টাল প্রতি ৭-১৩ কেজি ধান বাদ দেওয়ায় অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, কিছু সংখ্যক কৃষক বাড়ি থেকে এই খবর পেয়ে, আগে রেজিস্ট্রেশন করা সত্ত্বেও ধান বিক্রয় কেন্দ্রে আসেননি। রাজ্য সরকারের মহতী উদ্যোগে গরীব কৃষকদের পাশে আরো আন্তরিকভাবে খাদ্য দপ্তরের থাকা জনগন আশা করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ