Advertisement

Responsive Advertisement

উত্তর পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে আগরতলায় চলছে ভাস্কর্য কর্মশালা

আগরতলা, ২৬ জুলাই : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের অধিনস্ত "আজাদী কা অমৃত মহোৎসব” (আকাম) বিভাগের এর আর্থিক সহযোগিতায় ও নিউ দিল্লীর ললিত কলা একাডেমী, রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং এন, কে সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে একমাস ব্যাপী ভাস্কর্য শিল্পের কর্মশালা। তা রাজ্যর তথা দেশের মধ্যে এক অনন্য রূপ পেতে চলেছে। ললিত কলা কেন্দ্রের আগরতলা সেন্টারে হচ্ছে এই কর্মশালা। 
ত্রিপুরা রাজ্যকে প্রাধান্য দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বরেণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী, যাদের কোনদিন ইতিহাসের পাতায় সেই অর্থে দেখা যায়নি, তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে আবক্ষ মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। 
এতে নাগাল্যান্ড থেকে রাণী গাইডিনলিউ, আসাম থেকে উল্লাস কর দত্ত, কনকলতা বড়ুয়া ও মনিরাম দেওয়ান আছেন, তেমনই মেঘালয় থেকে ইউ তিরত সিং সইমলিয়েহ, মনিপুর থেকে পাওনা ব্রজবাসি, বীর টিকেন্দ্রজিত সিং, মিজোরাম থেকে লালনো রপুইলিয়ানি আছেন।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ৭৫০ বছরের ইতিহাসকে প্রাধান্য দিয়ে ত্রিপুরার ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে দুই বরেণ্য সেনাপতি রাই কাচাক, রাই কসম যারা ত্রিপুরাকে যুগল আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিলেন, সেই দুজন বীরের মূর্তি এবং রিয়াং বিদ্রোহের মূল কান্ডারী রতন মনি রিয়াং-এর ভাস্কর্য এখানে দেখতে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি হরিগঙ্গা বসাক, যিনি ত্রিপুরাকে ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিকরণে অসাধারণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন উনার ভাস্কর্যও আমরা এখানে দেখতে পাই। তেমনি বিনয় ভূষণ লস্কর চৌধুরী কেও দেখতে পাই, পরবর্তী কালে যার একান্ত প্রচেষ্টায় আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক স্থাপনা হয়েছিল। তেমনি আমরা দেখতে পাই ত্রিপুরার প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী, শচীন্দ্রলাল সিংহ ও সুখময় সেনগুপ্তকে। সেই সঙ্গে বীরেন দত্ত, প্রমোদ মজুমদার, গীরিন্দ্র চন্দ্র বণিক, বলরাম চন্দ্র পোদ্দার, অমর কৃষ্ণ সরকার, কুমুধ বন্ধু চক্রবর্তী, ক্ষিতীশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, খিতিনাথ ভরদ্বাজ, ক্ষীরোদ সেন, জগবন্ধু চক্রবর্তী, জিতেন্দ্র নাথ মিত্র, দেব প্রসাদ সেনগুপ্ত, বঙ্কিম চন্দ্র সেনগুপ্ত, বিনয়ান্দ্র কর ভট্টাচার্য, মনি দেবী, মনিন্দ্র কর ঢালী, যোগেশ চক্রবর্তী, রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শচীন্দ্রলাল চৌধুরী, সুশীল কর দে, উমেশ লাল সিং, জিতেন্দ্র চন্দ্র পাল, মরেন্দ্র চন্দ্র দাস, নবদ্বীপ সিনহা, প্রশান্ত কর দেববর্মন, প্রভাত দেববর্মন (রায়), কুঞ্জেশ্বর দেববর্মন। তাঁদের মূর্তি এই ভাস্কর্য কর্মশালায় তৈরি করা হচ্ছে।
শিল্পীরা মধ্যপ্রদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয় থেকে অংশ নিয়েছেন। সেই সঙ্গে ত্রিপুরার শিল্পীরা আছেন এই ভাস্কর্য কর্মশালায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ