Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্য থেকে এখন প্যাকেট জাত আনারস রপ্তানি হচ্ছে দেশ-বিদেশে


আগরতলা, ১ আগস্ট: গোটা আনারসের পাশাপাশি এখন কেটে প্যাকেট হয়ে অন্যান্য রাজ্য এবং বিদেশে রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন আনারস চাষীরা। 
রাজ্যের সুস্বাদু আনারসের কথা এখন দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে পৌঁছে গিয়েছে। তাই মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে ইউরোপের মানুষের রসনা তৃপ্তির অন্যতম এক উপাদান হয়ে উঠেছে রাজ্যের আনারস। সারা বিশ্বে পরিচিতি দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের চেষ্টায় ত্রিপুরার আনারস জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন্স তথা জিআই ট্যাগ পেয়েছে।
রাজ্যের চাষীরা যাতে আনারস চাষ করে আর্থিক ভাবে আরও বেশি করে লাভবান হতে পারেন তার জন্য একের পর এক উদ্যোগ নিয়ে চলছে। এর ফলে গোটা আনারসের পাশাপাশি কেটে প্যাকট জাত করে আনারস দেশ-বিদেশে রপ্তানি করার কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যের সবচেয়ে বেশি আনারস উৎপাদিত হয় ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের দারচৈ এলাকায়। এই এই আনারস প্রক্রিয়াজাত করে দেশ-বিদেশে রপ্তানি করার জন্য একাধিক কারখানা গড়ে ওঠে উঠেছে কুমারঘাট শিল্পাঞ্চলে। এই কারখানাগুলোতে আনারস গুলোকে কেটে গোল গোল ছোট ছোট স্লাইস পিস করে টিনের কৌটোয় ভরে বহি: রাজ্য এবং বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এমন এক আনারস প্রক্রিয়াকরণ কারখানার ম্যানেজার সৌমিত্র দে জানান, তাদের কারখানায় প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার থেকে ৫ হাজার কৌটো আনারস তৈরী হচ্ছে। এখানে প্রায় ৫০জন মহিলা এবং ১০জন পুরুষ প্রতিদিন কাজ করেন। তাদের কারখানায় উৎপাদিত আনারসের প্যাকেট গুলো দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে জানান। 
ম্যানেজার সৌমিত্র দে আরো জানান আনারসের খোসা ছাড়া কোন কিছু ফেলার নয়, স্লাইস তৈরীর পর যেসব ছোট টুকরো থাকে, এগুলিও প্রথমে হিমাহিত করে জ্যাম জেলি তৈরীর কারখানায় কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আনারসের পাশাপাশি কাঁঠাল, বাঁশকরুল কাঁঠাল, গ্রীনমটর প্যাকেট জাত করা হয়। আগামীদিনে এই কারখানায় আনারসের জুসও তৈরী করা হবে। এর জন্য যন্ত্রপাতি লাগলো হয়েছে বলে জানান। ঠিক একই ভাবে কুমারঘাটের অন্যান্য কারখানাগুলোতেও এভাবে আনারস প্রক্রিয়া জাত করা হচ্ছে। 
এভাবে একাধিক কারখানা তৈরি হয় কুমারঘাট এলাকার চাষীরাও খুশি। ডি ডার্লং নামে চাষী বলেন, আনারস মৌসুমি ফল, সাধারণ মানুষ এই আনারস গুলো নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করে থাকেন। ফলে বাড়তি আনারস বাগানেই পঁচা নষ্ট হতো। আবার এমনও দেখা গিয়েছে চাষীরা তাদের উৎপাদিত আনারস বাজারে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পরিবহন খরচ তোলা সম্ভব হয়নি, এই অবিক্রি হওয়া আনারস গুলো আবার গাড়ি করে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়তো। তাই তারা বাধ্য হয়ে আনারস গুলো বাজারে ফেলে আসতেন। কিন্তু এখন প্রক্রিয়াকরণ কারখানা তৈরি হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। আনারস বাজারে ফেলে আসার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই তারা খুশি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ