Advertisement

Responsive Advertisement

নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনে ছাত্রছাত্রী সহ এনএসএস স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসতে হবে: মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ৩১ জুলাই: ছাত্রছাত্রীরাই আগামীদিনের ভবিষ্যত। তাদের হাতেই থাকবে দেশ ও রাজ্যের রাশ। তাই তাদের লেখাপড়ায় যাতে কোন প্রকার ত্রুটি না থাকে সেবিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। কোন কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে না আসলে কেন আসছে না সেজন্য খোঁজ নিতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। নেশামুক্ত দেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। সোমবার রাজধানীর বানী বিদ্যাপীঠ বালিকা দ্বাদশ স্কুলে এনএসএসের ৭ দিন ব্যাপী বিশেষ শিবির ও রক্তদান শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
বিভিন্ন সময়ে সেবা মূলক কাজ সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি পালন করে থাকে রাজধানীর বানী বিদ্যাপীঠ গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল। এই অবস্থায় সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এনএসএস তথা জাতীয় সেবা প্রকল্পের ৭ দিন ব্যাপী বিশেষ শিবির। সেই সঙ্গে এই শিবিরকে স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের। গাছের চারায় জল দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 
পরে উদ্বোধকের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের মন মানসিকতা খুবই কোমল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তাদেরকে যেমনভাবে তৈরি করা হবে তেমনভাবে তারা নিজেদের প্রস্তুত করবে। এজন্য প্রয়োজন সুস্থ পরিবেশের। সেই পরিবেশ তৈরি করার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে স্মার্ট ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই স্মার্ট ক্লাশে পড়াশুনায় উপকৃত হবে পড়ুয়ারা। বর্তমানে যারা ছাত্রছাত্রী তারাই আগামী দিনে দেশের ভবিষ্যত। নিজেদের ভবিষ্যত গড়ার পাশাপাশি নেশামুক্ত ত্রিপুরা এবং নেশামুক্ত ভারত গড়ার জন্যও ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে।
এর পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে একাংশ ছাত্রছাত্রীর স্কুলে উপস্থিতির হার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু অংশের ছাত্রছাত্রী দিনের পর দিন স্কুলে আসে না। কিন্তু কেন তারা নিয়মিত স্কুলে আসছে না সেজন্য তাদের খোঁজখবর নিতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের আরো যত্নবান হতে হবে। আরো একটি উদ্বেগের বিষয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাল্য বিবাহের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আর সেই প্রবনতা বন্ধ করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। 
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, মহিলাদের স্বনির্ভর করা ও তাদের আর্থিক মান উন্নয়নের জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার। কারণ মহিলারা শক্তিশালী না হলে দেশ ও রাজ্য শক্তিশালী হবে না। এতে সমাজ বিভিন্ন দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকবে। তাই মহিলাদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছা রক্তদানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা চান্দনি চন্দ্রন সহ অন্যান্য অতিথিগণ। অনুষ্ঠান শেষে রক্তদান শিবির ঘুরে দেখে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ। পরে স্কুল চত্বরে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ