আগরতলা, ১৮জুলাই : বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে আরো সাতটি বর্ডার হাট নির্মাণ করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিধানসভা অধিবেশনের রাজ্য শিল্প বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বিধানসভার সদস্যদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে একথা জানিয়েছেন।
লিখিত জবাবের মন্ত্রী আরো জানান, বর্তমানে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ সীমান্তে দুইটি বর্ডার হাট রয়েছে। এগুলি হলো দক্ষিণ জেলার শ্রীনগর বর্ডার হাট এবং সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগর বর্ডার হাট।
ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রানলয় ভারত-বাংলাদেশ সীমানায় সীমান্ত হাট করার অনুমোদন দিয়ে থাকে। ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে চারটি বর্ডার হাটের যথা দক্ষিণ জেলার শ্রীনগর, সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগর, উত্তর জেলার পালবস্তি (রাঘনা) এবং ধলাই জেলার কমলপুরে চারটি বর্ডার হাট স্থাপনের জন্য অনুমোদন দেয়। বর্তমানে কমলাসাগর, শ্রীনগর বর্ডার হাট দুটি চালু রয়েছে। পালবস্তি (রাঘনা) এবং কমলপুর সীমান্ত হাট স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
সেই সঙ্গে নতুন করে আরো সাতটি বর্ডার হাট নির্মাণের জন্য ২০১৮সনের আগষ্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এগুলি হলো স্থানে যথা-পশ্চিম জেলার বামুটিয়া, ঊনকোটি জেলার হীরাছড়া, দক্ষিণ জেলার একিনপুর, ঋয্যমূখ, আমলিঘাট, ধলাই জেলার রইস্যাবাড়ি এবং সিপাহীজলা জেলার বক্সনগরে বর্ডার হাট খোলার জন্য
এরপর ২০১৯ সনে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বর্ডার হাট কমিটির সীপাহিজলা জেলার কাঁঠালিয়া এলাকায় ও খোয়াই জেলার বেলছড়া এলাকায় নতুন দুটি বর্ডার হাট খোলার জন্য প্রস্থাব গ্রহন করেছে। তবে এই নয়টি বর্ডার হাট খোলার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ সরকার যৌথ ভাবে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেনি।
পরবর্তী সময় ২০২০সালের জুন মাসে সিপাহীজলা জেলায় কাঁঠালিয়া এবং পশ্চিম জেলার বামুটিয়া এলাকার বর্ডার হাট খোলার জন্য ডিপিআর কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
খোয়াই জেলার বেলছড়ায় বর্ডার হাটের জায়গা নির্ধারনের জন্য খোয়াই এবং বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলা যৌথ আধিকারিক টিমের পরিদর্শন বাকি রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের অনুমতি পেলে এবং বাংলাদেশ সরকারের সম্মতিক্রমে ঊনকোটি হীরাছড়াসহ অবশিষ্ট স্থানে বর্ডার হাট খোলার কাজ শুরু হতে পারে।
২০১৭ সালের জুন মাসে রাঘনা সীমান্ত হাটের জয়েন্ট হাট ম্যানেজমেন্ট কমিটির মিটিং এর মাধ্যমে দুই দেশের বর্ডার হাটের জায়গা নির্ধারন করা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জমিতে হাট নির্মান করার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) পাওয়া গেছে। এনওসি পাওয়ার পরে অর্থের সংস্থানের জন্য ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্টার(ডিপিআর) কেন্দ্রীয় সরকারের বানিজ্য মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বানিজ্য মন্ত্রক ২.৬২কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। মোট প্রকল্প ব্যায় ৫.৪৯ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের কাছে তারিখ চাওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বানিজ্য মন্ত্রক ২.৫৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে কমলপুর বর্ডার নির্মাণ করার জন্য। মোট প্রকল্প ব্যায় ৫.৩০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। প্রথম কিস্তিতে রাজ্য সরকার ১.২৭ কোটি টাকা অর্থ প্রদান করেছে। বর্তমানে প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ