Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে সুশাসন পৌঁছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরকার : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১৪ জুলাই: রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের তরফে সুশাসন পৌঁছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই দৃঢ় সংকল্প নিয়ে শুক্রবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা সফরে গিয়ে শান্তিরবাজার মহকুমা শাসকের কার্যালয় পরিদর্শন করলেন তিনি। বিশেষ করে প্রশাসনিক কাজের সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন কিনা সেবিষয়ে খোঁজখবর নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 
শুক্রবার একদিনের ঝটিকা সফরে দক্ষিণ জেলায় গেলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। জেলা সফরের সময়ে দলীয় ও সরকারি একাধিক কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি। এদিন প্রথমেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে নিয়ে শান্তিরবাজার মহকুমা শাসকের কার্যালয় পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অফিসের প্রত্যেক সেকশনে গিয়ে প্রশাসনিক কাজকর্মের খোঁজখবর নেন। কথা বলেন কর্মচারী সহ প্রশাসনিক কাজের সুফল নিতে আসা সাধারণ মানুষের সঙ্গে। জেনে নেন সুবিধা অসুবিধার কথা। এর পাশাপাশি কাজ করতে গিয়ে কোথাও প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে কিনা সেবিষয়ে অবগত হন। 
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহণের পর থেকেই প্রশাসনিক কাজে আরো গতি আনার জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রশাসনের শীর্ষ মহল থেকে শুরু করে অধঃস্তন মহল পর্যন্ত কাজের গতিবিধি সম্পর্কে নিজেও ওয়াকিবহাল হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সারা রাজ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল 'প্রতি ঘরে সুশাসন' অভিযানের মতো সফল কর্মসূচি। যার সুফল নিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক সহস্রাধিক আমজনতা। 
যথারীতি জনতার রায়ে দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গুরুদায়িত্ব নিয়েও মানুষের কাছে প্রশাসনিক কাজের সুফল পৌঁছে দেওয়াকে অন্যতম প্রাধান্য দিয়েছিলেন রাজ্যের অভিভাবক মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার ঝটিকা সফরে শান্তিরবাজার মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। সেখানে কর্মচারীদের নিয়মিত উপস্থিতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে তদারকি করেন। সেই মতো মহকুমা শাসককেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মোট কথায়, প্রশাসনিক কাজে এসে সাধারণ মানুষ যাতে কোনভাবেই হেনস্থার শিকার হন সেবিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত যাতে প্রশাসনিক কাজের সুফল পায় সেটা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। স্বাভাবিক কারণে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে চোখের সামনে পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষও। 
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজ‌ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা সফরে শান্তিরবাজার মহকুমা শাসকের কার্যালয় পরিদর্শন করি এবং নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে খোঁজখবর নিই।
বিভিন্ন প্রশাসনিক সুযোগ- সুবিধা সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সুনিশ্চিত করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকার।
এদিন মহকুমা শাসকের কার্যালয় পরিদর্শন করার সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শান্তিরবাজারের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী, মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্য সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ