Advertisement

Responsive Advertisement

জনসাধারণের মৌলিক সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার লাভার্থী সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৮ জুলাই: রাজ্যের মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। মানুষের সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে সেগুলি সমাধানে আন্তরিক সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানুষের সার্বিক কল্যাণের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে চলেছেন। আর সেই দিশায় কাজ করছে রাজ্য সরকারও। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়ন এবং ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কাজকর্মে খুশি এই রাজ্যের মানুষ। এই সরকারের প্রতি তাদের আন্তরিক সমর্থন রয়েছে। শুক্রবার সোনামুড়া মহকুমার ধনপুরে আয়োজিত লাভার্থী সম্মেলনে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
লাভার্থী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এখানে এসে সুবিধাভোগীদের (বেনিফিসিয়ারি) সাথে কথা বলেছি। তারা যে সরকারী প্রকল্পগুলি পেয়েছেন তাতে তারা সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। কথা বলার সময় তারা তাদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাগুলি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে ধনপুর এবং সমগ্র রাজ্যের মানুষ রাজ্য সরকারের জনমুখী কাজকর্ম নিয়ে খুবই খুশি। যা ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রতি তাদের আন্তরিক সমর্থন থাকার বিষয়টি প্রমাণ করে। বর্তমান সরকার জনগণের মৌলিক সমস্যাগুলি সমাধানে যথেষ্ট আন্তরিক।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবারের রাজ্য বাজেটে অর্থমন্ত্রী প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ পেশ করেছেন। এরমধ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বাজেটে প্রচুর অর্থ সংস্থান রাখা হয়েছে। কারণ সরকার পরিকাঠামোর উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে। মূলত, রাজ্য ও বাইরের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। 
মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা আরো জানান, প্রতি বুধবার মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ দেখা করতে আসেন। এরমধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ লোকই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সহযোগিতা চাইতে আসেন। এই কারণে 'মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায়' পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্য সরকার সমস্ত জেলাগুলিতে মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন এবং চারটি নতুন মোটর স্ট্যান্ড খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবহন কমিশনার অফিসও স্থাপন করা হবে। জনজাতি সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্যও প্রায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি জানান, রাজ্য সরকার জনজাতিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনজাতিদের কথা মাথায় রেখে তাদের সুবিধার জন্য ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ (টিটিএএডিসি) এর নাম পরিবর্তন করে তিপরা টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল (টিটিসি) করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যের বাজেটেও জনজাতি সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পূর্ব ও পরবর্তী যুগে যে অগ্রগতি হয়েছে তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদি উত্তর-পূর্বে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এনেছেন। যে উত্তর পূর্বাঞ্চল কেন্দ্রের পূর্ববর্তী সরকারগুলি কর্তৃক বরাবরই উপেক্ষিত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, ত্রিপুরা সরকারও স্বচ্ছভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এতে রাজ্যের আপামর জনসাধারণ বিভিন্ন দিক দিয়ে উপকৃত হচ্ছেন। সমাজের একেবারে তৃণমূল স্তরে থাকা ব্যক্তিদের উন্নতির জন্য এই সরকার নিবেদিত রয়েছে। 
এদিন এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী পাপিয়া দত্ত, দেবব্রত ভট্টাচার্য, প্রসেনজিত ঘোষ, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক বিশাল কুমার, জেলা পুলিশ সুপার বি জে রেড্ডি সহ প্রশাসনের অন্যান্য পদস্থ আধিকারিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ