Advertisement

Responsive Advertisement

সংগঠনকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমুলক কর্মসূচি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর্তাদের এগিয়ে আসতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ১৯ জুলাই: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন্তাভাবনা ও তাঁর জনমুখী প্রকল্পগুলি নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। দেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী কি কি কাজ করে যাচ্ছেন সেসম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। সম্পর্কের সঙ্গে সমর্থন কার্যক্রমে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি তাদের সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে। শুধু মুখে বললে হবে না, কাজের মাধ্যমে সেটা প্রমাণিত করতে হবে। সেই সঙ্গে আমার বুথ শক্তিশালী বুথ এই ভাবনা নিয়ে বুথ স্তরে মানুষের সঙ্গে আরো নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। বুধবার উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি কমিউনিটি হলে আয়োজিত ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক সভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
কদমতলা - কুর্তি বিজেপি মন্ডলের উদ্যোগে এই সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিধানসভায় ২৭ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। এরমধ্যে নতুন আরো প্রায় ১৩টি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। এসকল প্রকল্পগুলি নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এই বাজেটে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, মূলধনী ব্যয় খাতে প্রায় ৫ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। কারণ পরিকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে বিনিয়োগকারীরা রাজ্যে আসবেন না। তাই সেই দিশায় কাজ করছে সরকার। ত্রিপুরায় চা, আগর এবং রাবার সেক্টরে প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। 
সাংগঠনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের পাশাপাশি রাজ্যে যে উন্নয়নমূলক অগ্রগতি চলছে সেটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণেই সম্ভব হয়েছে। তাই অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর এই জনমুখী উদ্যোগের বিষয় নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছাতে হবে। আর শুধুমাত্র লিফলেট বিতরণ করা যথেষ্ট হবে না। কথায় এবং কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বুথগুলিকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে হবে। কাজের মধ্য দিয়েই জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। 
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জোর দিয়ে বলেন আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবল দুর্নীতি ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে এবং দুর্নীতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে দেশের বিকাশ এগিয়ে নিয়ে চলেছে। আর রাজ্য সরকারও সেই একই নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে। আগে বিভিন্ন কেলেঙ্কারির কথা শুনলেও এখন দুর্নীতি বা কেলেঙ্কারির কোন সুযোগ নেই। কার্যকর্তা, বিধায়ক ও মন্ত্রীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। একজন কার্যকর্তাকে একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকতে হবে। কার্যকর্তাগণ সরকার ও দলের প্রতিনিধি। সেক্ষেত্রে কার্যকর্তাদের অবশ্যই রাজ্য সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির উন্নয়ন কাজগুলিকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ - ২৪ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্যের বাজেট ধরা হয়েছে ২৭,৬৫৪ কোটি টাকা। যাতে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ উপকৃত হয় সেভাবেই বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মূলধন ব্যয়ের উপর উল্লেখযোগ্য ফোকাস সহ বাজেটে প্রায় ১৩টি নতুন প্রকল্প ঘোষণা করা রয়েছে। রাজ্যে রাবার, চা এবং আগর সহ এই অঞ্চলের প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে যা বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য একটি আকর্ষণীয় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
এদিন সভায় দেশ ও রাজ্যের বিকাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশ গত ৯ বছরে উন্নয়নের ঢেউ প্রত্যক্ষ করেছে। এছাড়াও, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি বাস্তবায়নের ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। যোগাযোগ, উন্নততর ইন্টারনেট পরিষেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি হয়েছে এই অঞ্চলে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কার্যকর্তাদের আরো সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ