Advertisement

Responsive Advertisement

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এক সহযোগী ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শচীন সিং এর জন্মদিন আজ

আগরতলা, ৭ আগস্ট: ৭ই আগষ্ট ত্রিপুরা রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিং এর জন্মদিন। এবছর তাঁর ১১৬ তম জন্মদিন। তিনি ১৯০৭ সালের ৭ আগষ্ট তিনি জন্মগ্রহন করেন। তিনি শচীন সিং নামের সর্বজন পরিচিত। 
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম এক বীর সেনানী ছিলেন। যে কারণে তাকে ১৭বছর ব্রিটিশ কারাগারে বন্দী জীবন কাটাতে হয়। বাংলাদেশের জন্মের পেছনে তাঁর বড় অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময় তিনি লক্ষ লক্ষ শরণার্থীদের ত্রিপুরায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। বলতে গেলে উনার হাত ধরেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা শুরু হয়েছিল। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের এক অকৃত্রিম বন্ধু। এখন তা সর্বজনবিধিত যে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ত্রিপুরা রাজ্যে এসেছিলেন এবং তিনি শচীন সিং এর আশ্রয়ে নিরাপদে ছিলেন এবং নিজ দেশে ফিরে যান। তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ "Friend of Liberation War'" সম্মানে ভূষিত করা হয়। 
 শচীন্দ্র লাল সিং ১ জুলাই ১৯৬৩ থেকে ১ নভেম্বর ১৯৭১ইং পর্যন্ত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। তারপর ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মতভেদ দেখা দেওয়ার ফলে তিনি কংগ্রেস দল ত্যাগ করেন এবং 
এবং সিএফডি দল গঠন করেন এবং ১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম লোকসভা আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী শচীন্দ্র লাল সিং কে আমন্ত্রণ জানালে তিনি আবার কংগ্রেসে যোগদান করেন। তখন রাজীব গান্ধী তাকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের কংগ্রেসের সাংগঠনিক ইনচার্জের দায়িত্ব দেন।
ত্রিপুরার জনজাতিদের কাছে শচীন্দ্র লাল সিং ছিলেন সাক্ষাৎ ভগবান স্বরূপ। রাজ্যের জনজাতিদের কল্যাণে তাঁর অবদানের কথা জনজাতিরা আজও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তৎকালীন ভারতের জাতীয় রাজনীতির নেতৃত্ব ড. বিধান চন্দ্র রায়, হৈমবতী নন্দন বহুগুনা, কে কে কামরাজ, গোপীনাথ বরদলৈ, জগজীবনরাম, নন্দিনী সতপতী, রঘুনাথ রেড্ডী, ব্রহ্মানন্দ রেড্ডী ও লালবাহাদুর শাস্ত্রীসহ আরো অনেক নেতৃত্বের সঙ্গে শচীন্দ্র লাল সিং এর নিবিড় সখ্যতা ছিলো।
 ৮ ডিসেম্বর ২০০০ সালে ৯৩ বছর বয়সে তিনি দিল্লিতে দেহত্যাগ করেন। তাঁর মরদেহ আগরতলায় এনে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ রাষ্টীয় মর্যাদায় সৎকার করে। মৃত্যুকালে স্ত্রীসহ দুই পুত্র ও দুই কন্যা সহ বহু গুণমুগ্ধ তিনি রেখে গেছেন। 
বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরনোত্তর "Friend of Liberation War'" সন্মানে ভূষিত করে। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ