আগরতলা, ১১আগস্ট : মাশরুমজাত খাদ্যের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই মাশরুম থেকে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনের জন্য রাজ্যে মাশরুম প্রক্রিয়াকরণকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ নাগিছড়াস্থিত উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের গবেষণা কেন্দ্রে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষের উপর একদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তর থেকে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরে ৬০ জন মাশরুমচাষী অংশ নেন।
প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, রাজ্যে বৈজ্ঞানিক প্রথায় মাশরুম উৎপাদনের জন্য সরকার প্রচেষ্টা নিয়েছে। রাজ্যে ৬৬০ জন মাশরুমচাষী রয়েছেন। গত ৫ থেকে ৭ বছরে রাজ্যে মাশরুমের বীজ বা স্পন উৎপাদন প্রায় ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরাতে মাশরুমের বীজ উৎপাদনের জন্য নতুন ১০টি ল্যাবেরোটরি স্থাপন করা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে মাশরুম চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ফটিকছড়ার বাবুল দেবনাথ, কৈলাসহরের মৃগাঙ্ক দাস ও ডুকলির লিটন বিশ্বাস নিজেদের মাশরুম উৎপাদন কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৫ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, মাশরুম চাষ খুবই লাভজনক। মাশরুম চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ফার্ম ম্যাকানিজমে ত্রিপুরা ভারতের মধ্যে একটা বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। যার ফলস্বরূপ বিগত ৫ বছরে রাজ্যে মাশরুমের বীজ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, আগে জনজাতি মাশরুমচাষীরা চিরাচরিত প্রথায় মাশরুম চাষ করতেন। গত ৫ বছরে বৈজ্ঞানিক প্রথায় মাশরুম চাষের বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এখন জনজাতি সম্প্রদায়ের মাশরুমচাষীরাও বৈজ্ঞানিক প্রথায় মাশরুম চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফণীভূষণ জমাতিয়া। ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের উপঅধিকর্তা ড. রাজীব ঘোষ। প্রশিক্ষণ শিবিরে উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের সহঅধিকর্তা সোমেন কুমার দাস সহ বিশেষজ্ঞগণ মাশরুমচাষীদের প্রশিক্ষণ দেন
0 মন্তব্যসমূহ