Advertisement

Responsive Advertisement

অনৈক্যকে দুরে সরিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সরকারের বিকাশমুখী প্রকল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে জনপ্রতিনিধিদের: মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ১২ আগস্ট: সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প রূপায়নের কাজ যাতে সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয় সেটা অবশ্যই নজর দিতে হবে। এর পাশাপাশি এমজিএন রেগায় ঠিকভাবে বেনিফিসিয়ারি চিহ্নিত করে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। এমজিএন রেগায় স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করার দিকেও বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। মোট কথায় ত্রিপুরা রাজ্যের সার্বিক বিকাশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। 
শনিবার আগরতলার ভগৎ সিং যুব আবাসে জিলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত দুদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ বর্গের উদ্বোধন করে এই গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
সেই সঙ্গে আসন্ন উপ নির্বাচনে দুটি আসনেই জয়ী হবে ভারতীয় জনতা পার্টি । এছাড়া ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যের দুটি আসনেই বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থীরা। মানুষের জন্য যে বিকাশমুখী কাজ করা হচ্ছে সেই নিরিখেই এই জয় সুনিশ্চিত হবে। এদিন সাংগঠনিক কর্মসূচিতে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষের স্বার্থে কাজ করার ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের একটা বিশাল ভূমিকা রয়েছে। সেই নিরিখেই কাজ করতে হবে তাদের। 
এদিন ভারতীয় জনতা পার্টির দলীয় কর্মসূচিতে বিভিন্ন মূল্যবান পরামর্শ উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বিশেষ করে সকলকে পার্টির গাইডলাইন মেনে চলতে পরামর্শ দেন তিনি। 
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি ক্ষেত্রকে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। সারা ত্রিপুরাতে অগ্রগতির দিশা নিয়ে কাজ করছে সরকার। আর এসব কাজকর্ম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রূপায়িত হয়ে থাকে। জনপ্রতিনিধিদেরও পার্টির নির্দেশিকা মেনে কাজ করতে হবে। পার্টি ছাড়া কিছুই হবে না। সমাজের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে পার্টির নির্দেশিকা মানতে হবে। দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে এসব বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। 
ডা: সাহা আরো বলেন, ১৯৫১ সালে পার্টির পূর্বসুরী জনসংঘের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এরপর ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার অনেক কিছু করছে। সরকার কি কাজ করছে সেগুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু সভাপতি বা সহ সভাপতির উপর নির্ভর করলে হবে না। সমাজ পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকারে থাকতে হবে। আর সমাজ পরিবর্তন করতে হলে আরো অনেক কাজ দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। সরকারের যেসকল কাজ রয়েছে এর বেশিরভাগই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। আর সময়ের সঙ্গে কাজ করতে না পারলে কেন্দ্র থেকে যে বরাদ্দ আসে সেটা চলে যায়। তাই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। 
এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা সহ দলের বিভিন্ন স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ