Advertisement

Responsive Advertisement

খুব শীঘ্রই ন্যায্যমূল্যের দোকানে মসুর ডাল দেওয়া শুরু হচ্ছে : সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৩অগাস্ট : রাজ্যের সরকারি ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলিতে খুব শীঘ্রই মসুর ডাল সরবরাহ করা হবে। গতকালই রাজ্যে ১,৩০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল এসে পৌঁছেছে। রাজ্যে মসুর ডাল এসে পৌঁছে যাওয়ায় আগামী দু'একদিনের মধ্যেই সরকারি ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলি থেকে মসুর ডাল সরবরাহ করা হবে। আজ সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা জানান। খাদ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের ২,০৫৬টি ন্যায্যমূল্যের দোকান ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে এই ডাল সরবরাহ করা হবে। তিনি জানান, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে ন্যায্যমূল্যের দোকানে এপিএল ভোক্তাগণ প্রতি কেজি মসুর ডাল ৮৪ টাকার বদলে ৮২ টাকায় এবং বিপিএল ও অন্ত্যোদয় ভোক্তাগণ ৫৯ টাকার পরিবর্তে ৫৭ টাকা কেজি দরে মসুর ডাল ক্রয় করতে পারবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান, বিগত তিন মাস ধরে খাদ্য দপ্তর রাজ্যের বিভিন্ন বাজার ও ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলিতে কালোবাজারি রুখতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মোট ১৮৪টি বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। এরফলে মোট ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৫৮ জন ব্যবসায়ীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ১০টি দোকানকে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি ১,৭৮৯টি ন্যায্যমূল্যের দোকানেও অভিযান চালানো হয়েছে। এরমধ্যে ২৭৭টি ন্যায্যমূল্যের দোকানকে কারণ দর্শনোর নোটিশ প্রদান করা হয়। ৫টি ন্যায্যমূল্যের দোকানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। মোট ১ লক্ষ ৪ হাজার ৪৭১ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। যেকোনও প্রকার কৃত্রিম সংকট এবং কালোবাজারি শক্ত হাতে দমন করা হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, চাল, গম, চিনি, পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ দপ্তরের সচিব ইউ কে. চাকমা, পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী, খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারি এবং খাদ্য দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা। 

1/1

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ