আগরতলা, ৫ আগাস্ট : খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। খেলাধুলায় সফল ক্রীড়াবিদগণ সমাজে সুনাম ও প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে সক্ষম হন। ছাত্রজীবনে পড়াশুনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলায়ও অংশ নিতে হবে। আজ কৈলাসহরে রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে রাজ্যভিত্তিক অনুর্ধ্ব ১৭ বালকদের সুব্রত মুখার্জি কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। প্রতিযোগিতায় ৮টি জেলা থেকে ও ত্রিপুরা স্কুল স্পোর্টস বোর্ড থেকে মোট ৯টি দল অংশ নিয়েছে। তিনদিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম ছাড়াও আরকেআই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও বলেন, রাজ্যে খেলাধুলায় প্রতিভার অভাব নেই। তাদের তুলে আনতে চাই একটু সুযোগ ও পরিকাঠামোর উন্নয়ন। ফুটবলের পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার সিন্থেটিক ফুটবল মাঠ তৈরি করেছে। সামগ্রিকভাবে খেলাধুলার উন্নয়নে এবছর ক্রীড়াক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যুব সমাজকে নেশামক্ত রাখতে খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা নিতে পারে। সেই লক্ষ্যে সরকার যুব সমাজকে খেলাধুলায় উৎসাহিত করছে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খেলাধুলা ও পড়াশুনা দুটোই একসাথে চালিয়ে যেতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, ২০১৮ সালের পর রাজ্যে ক্রীড়াক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। রাজ্যে চারটি ফুটবল মাঠ আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। আরও দুটি ফুটবল মাঠ আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। কৈলাসহরে একটি যুব আবাসন তৈরি করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরা স্কুল স্পোর্টস বোর্ডে শুধু খেলাধুলাই নয়, খেলোয়াড়দের পড়াশুনার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ ত্রিপুরা স্কুল স্পোর্টস বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা লাগাতর চার বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ পাশ করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তপশিলি জাতি কল্যাণমন্ত্রী সুধাংশু দাস, ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, সহকারি সভাধিপতি শ্যামল দাস, কৈলাসহর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, জেলাশাসক টি কে চাকমা, পুলিশ সুপার কান্তা জাহাঙ্গির, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ, কৈলাসহর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরুণ সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ চক্রবর্তী।
0 মন্তব্যসমূহ