কুমারঘাট,৩০ আগস্ট: সর্বভারতীয় সিলেটি ফোরাম ট্রাস্ট'র পক্ষ থেকে ত্রিপুরার জনপ্রিয় লেখক গোপাল কৃষ্ণ সেনকে "সিলেটি রত্ন অ্যাওয়ার্ড" প্রদান করা হয়
বাংলা তথা ভারত উপমহাদেশের মধ্যে অন্যতম খ্যাতনামা ও সুপরিচিত একটি অঞ্চল ছিল অভিক্ত শ্রীহট্ট তথা সিলেট। যার রয়েছে নিজেস্ব ডাইলেক্ট ও নিজেস্ব হরফ। ভাষা গবেষকদের একাংশের অভিমত বর্তমানের প্রচলিত বাংলার প্রচলনের আগে এই হরফের আধিপত্য ছিল বাংলার বেশিরভাগ অঞ্চল জুড়ে। সিলেটের সন্তানেরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দায়িত্ব ও সম্মানের সঙ্গে কাজ করছেন। সম্প্রতি চন্দ্রাভিযানে সফলতার কারণে ভারতবর্ষ গোটা বিশ্বের সামনে এক নজির সৃষ্টি করেছে। এই মিশন সফল করার জন্যও দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন একাধিক সিলেটি সন্তান। সময়ের স্রোতে সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যশালী এই অঞ্চলে কথা এখন অনেকটাই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাচ্ছে। তবে সিলেটি এই পুরাতন গৌরবকে শুধুমাত্র সিলেটি মানুষের কাছেই নয় অন্যান্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে শপথ নিয়েছে সর্বভারতীয় সিলেটি ফোরাম ট্রাস্ট। বাংলা ভাষাবাসী অঞ্চলের পাশাপাশি অন্যান্য প্রদেশে নানা কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে নিয়মিত ভাবে। এই কর্মসূচি গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে "সিলেটি রত্ন অ্যাওয়ার্ড" প্রদান করা। সিলেটি অংশের মানুষদের মধ্যে যারা সাহিত্য সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন কাজ সঙ্গে পালন করছেন তাদেরকে প্রদান করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে
সর্বভারতীয় সিলেটি ফোরাম ট্রাস্ট'র ত্রিপুরা শাখার পক্ষ থেকে প্রথম বারের মত "সিলেটি রত্ন অ্যাওয়ার্ড" দেওয়া হয়েছে। বুধবার ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট এলাকার স্বনামধন্য লেখক গোপাল কৃষ্ণ সেনকে এই সম্মান জানানো হয়।
এদিন এই লেখককে সম্মান জানাতে আগরতলা থেকে ছুটে আসেন সর্বভারতীয় সিলেটি ফোরাম ট্রাস্ট'র ত্রিপুরা শাখার দুই সদস্য রাজেশ দাস ও সুদীপ নাথ। ফোরামের আর এক সক্রিয় সদস্য কুমারঘাটের বাসিন্দা বিকাসেন্দু দেব তাদেরকে লেখক গোপাল কৃষ্ণ সেনের বাড়ীতে নিয়ে যান। সেখানে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমে লেখকের পরিবারের তরফে আগরতলা থেকে আগত সদস্যদের উত্তরীয় ও পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন। পাশাপাশি ফোরামের পক্ষ থেকে লেখক গোপাল কৃষ্ণ সেনের হাতে পুষ্পস্তবক, উত্তরীয় ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
মাতৃভাষা মিশনের কুমারঘাটের সদস্য ও সাহিত্যপ্রেমীরাও সামিল হয়ে এদিনের এই অনুষ্ঠানের জৌলুস আরো বাড়িয়ে তোলেন। সব মিলিয়ে এদিন "সিলেটি রত্ন অ্যাওয়ার্ড" প্রদানকে কেন্দ্র করে লেখক গোপাল কৃষ্ণ সেনের বাড়ীতে যেন বসে চাঁদের হাট। লেখকসহ উপস্থিত সাহিত্যপ্রেমীরা সিলেটি ভাষা সংস্কৃতির ঐতিহ্যর গুরুত্ব'র বিষয় নিয়ে সহমত পোষণ করেন এবং নিজেদের ঐতিহ্য ও গৌরবকে ফিরিয়ে আনার জন্য আরো গভীর ও ব্যাপক ভাবে চর্চা গবেষণা করার কথা বলেন।
পাশাপাশি লেখক গোপাল কৃষ্ণ সেনের পরিবারের সদস্যরা আগরতলা থেকে আগত সদস্যদের সিলেটিদের চিরাচরিত বিভিন্ন রকমারী পদের খাবার দিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত করেন।
0 মন্তব্যসমূহ