Advertisement

Responsive Advertisement

উপনির্বাচনে বক্সনগরে সিপিএমকে প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভোটাররা: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৬ আগস্ট: ভারতীয় জনতা পার্টির ডাবল ইঞ্জিন সরকারে এখনো অনেকগুলি কামরা খালি রয়েছে। তাই যারা কংগ্রেসের মরীচিকার পেছনে ঘুরেছেন এবং যারা সিপিএমের পেছনে ঘুরেছেন তারা তাড়াতাড়ি ভারতীয় জনতা পার্টিতে চলে আসুন। নাহলে দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টির ইঞ্জিন জনসাধারণের সার্বিক কল্যাণে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। 
শনিবার বক্সনগরে ভারতীয় জনতা পার্টির পৃষ্ঠাপ্রমুখ সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। আসন্ন উপনির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনের জয় সুনিশ্চিত বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি দলের কার্যকর্তাদের আন্তরিকভাবে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার পরামর্শ দেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে উন্নয়নমূলক কাজকে উপেক্ষা করার জন্য সিপিএমের তীব্র সমালোচনা করেন। আর আসন্ন উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রের মানুষ সিপিএম দলকে প্রত্যাখ্যান করবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন। 
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বক্সনগর ও ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে উপনির্বাচন। আর এই মহারনকে সামনে রেখে দুই কেন্দ্রেই এখন সাজো সাজো রব। সরব প্রচারের প্রায় শেষ লগ্নে এসে রাজনৈতিক দলগুলি ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। যদিও এবারও প্রচারের মাইলেজে অনেকটাই এগিয়ে চলছে ভারতীয় জনতা পার্টি। দুই কেন্দ্রে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে ময়দানে নেমে পড়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা নিজেই।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্র পরিদর্শন করে এখানকার বঞ্চনার পরিমাণ দেখে হতবাক হয়েছি। অতীতে এই কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় প্রতিনিধিত্বকারী বিধায়ক এবং মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এলাকায় উন্নয়ন অধরা ছিল। তাই এবার এলাকায় ডোর টু ডোর প্রচারের সময়ে মানুষ তাদের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপির পাশে থাকার অঙ্গিকার করেছেন। সেই সঙ্গে সিপিএমকে প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কারণ বিজেপি 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' নীতিকে সমর্থন করে চলে। 
আমি নিশ্চিত আগামী ৮ সেপ্টেম্বর জনগনের বিপুল ভোটে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনের জয়ের মধ্য দিয়ে আমরা এই বিধানসভায় বিজয় উদযাপন করবো।
মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা বলেন, আসন্ন এই উপনির্বাচনে পৃষ্ঠাপ্রমুখদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে ৪২ হাজার পৃষ্ঠাপ্রমুখ রয়েছেন। যার মধ্যে বক্সনগরে ১ হাজারের অধিক রয়েছেন। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে এবং তাদের সমর্থন অর্জনের জন্য পৃষ্ঠাপ্রমুখদের প্রতিটি বাড়িতে যেতে হবে। এই উপনির্বাচনে পৃষ্ঠাপ্রমুখদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। বিজেপি সরকার উন্নয়নের জন্য কি কি কাজ করছে সেটা জনগণকে অবগত করতে ঘরে ঘরে যেতে হবে। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি উন্নয়নের জন্য নিবেদিত। আমি বিশ্বাস করি বক্সনগরে এবং ধনপুর বিধানসভায় বিজেপির জয়ে পৃষ্ঠাপ্রমুখরা অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন।
এর পাশাপাশি একাংশ কংগ্রেস নেতার সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদের কিছু নেতা ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিল করার জন্য বারবার দল বদল করেছেন। কিন্তু বিজেপিতে তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় তারা আবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিজেপিতে সুবিধাবাদের কোনো জায়গা নেই। প্রত্যেককে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে এবং তারপরে আপনি পদ এবং পুরষ্কার অর্জন করবেন।
এদিন এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। 
এদিকে, বক্সনগর মন্ডল কার্যালয়ে শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ এবং অন্যান্যদের নিয়ে একটি সংগঠনিক বৈঠকে মিলিত হন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে সংগঠন মহামন্ত্রী রবীন্দ্র রাজু, বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ