Advertisement

Responsive Advertisement

বক্সনগরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন ৫ জন স্থানীয় শীর্ষ নেতৃত্ব

আগরতলা, ২২ আগস্ট: উপ নির্বাচনে বিরোধী শিবিরে প্রবল ধাক্কা। উপ নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই এবার বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বিরোধী রাজনৈতিক দল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা তলে সামিল হলেন ৫ জন প্রভাবশালী নেতৃত্ব। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার উপস্থিতিতে ৫ জন নেতৃত্ব বিরোধী দল ছাড়েন। যে কারণে উপ ভোটের আগে উল্লেখযোগ্য ধাক্কা খেল বিরোধী শিবির। 
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা বক্সনগর মন্ডলে সাংগঠনিক কর্মসূচি, উঠান বৈঠক সহ একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন।
কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার সময় ডঃ সাহা বিজেপির মূল্যবোধের উপর জোর দিয়ে বলেন, বিজেপি সুশাসনের প্রতীক, বিজেপি উন্নয়নের প্রতীক। যারা এই রাজ্যে ৩৫ বছর ধরে সহিংসতা ও অব্যবস্থাপনা চালিয়েছে তাদের পক্ষে ভোট দেওয়া মানে দুর্নীতি, হত্যা এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা। আর ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দেওয়ার অর্থ উন্নয়ন এবং সুশাসনকে নিশ্চিত করা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী তফাজ্জল হুসেনের সমর্থনে ১৮ এবং ১৯ নং বুথে ডোর টু ডোর প্রচারও করেন। আমজনতার সাথেও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি। 
প্রচার কালে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ায় পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্দীপনা দেখে আমি নিশ্চিত যে বিজেপি এই বিধানসভা নির্বাচনে অপ্রতিরোধ্য জনসমর্থন নিয়ে জয়লাভ করবে।
পাশাপাশি এদিন বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী অফিসও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ এবং অন্যান্য পদাধিকারীদের সাথে বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের একাধিক নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেবা, সুশাসন এবং গরীব কল্যাণের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বেশ কিছু তৃণমূল এবং সিপিএম নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করা বিশিষ্ট নেতৃত্বের মধ্যে রয়েছেন- জয়দল‌ হোসেন (টিএমসি প্রার্থী ও ব্লক সভাপতি), মিনাক্ষী বেগম (টিএমসি ব্লক মহিলা কমিটির সভানেত্রী) জয়নাল হোসেন (টিএমসি ব্লক মাইনোরিটি সেল সভাপতি), জাকির হোসেন (কংগ্রেস জেলা কমিটি সম্পাদক) এবং শরীক আহমেদ (সিপিএম যুবনেতা)।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও মজবুত করা হয়েছে। রাজনৈতিক দৃশ্যপটে পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের সার্বিক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমাদের রাজ্যও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুফল পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের এই গতিপথকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এদিনের সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী টিংকু রায়, অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, খাদ্য ও জনসংভরণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ