আগরতলা, ৩১ আগস্ট: বর্তমান রাজ্য সরকার মহিলা ক্ষমতায়ন ও তাদের সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এর পাশাপাশি রাজ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর সরকার। রাখি বন্ধনের মতো পবিত্র উৎসব এই সম্প্রীতির বাতাবরণকে আরও সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়। এই অটুট বন্ধন সমাজে নারীদের প্রতি দায়িত্ববোধকে আরো শক্তিশালী করে তুলে। বিভিন্ন দিক দিয়ে রাজ্যের নারী শক্তি এখন তাদের মেধার পরিচয় দিতে পেরেছে।
বৃহস্পতিবার আগরতলার রামনগর শাখার প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখি বন্ধন উৎসবে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা: মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা আরো বলেন, ভাইবোনের একে অপরের প্রতি স্নেহ ভালবাসার সম্পর্ক ও দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয় রাখিবন্ধন উৎসব। জন্মের পর থেকেই মানুষ এই বন্ধনে আবদ্ধ। রাখিবন্ধন উৎসব শুধুমাত্র ভাইবোনের সম্পর্কের ভিত্তিকেও সুদৃঢ় করে না, এই বন্ধন সমাজের মা-বোন সহ প্রতিটি নারীর প্রতি দায়বদ্ধতাকে আরো মজবুত করে তুলে। যে কারণে রাখিবন্ধন উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মহিলা ক্ষমতায়ণ ও সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন বর্তমান রাজ্য সরকার। সরকারি চাকুরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেকোন ধরণের সরকারি মার্কেট স্টল বন্টনের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথম ১০০ জন সেরা মেধাবী ছাত্রীকে বিনামূল্যে স্কুটি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার এবারের বাজেটে আর্থিক সংস্থান রেখেছে। স্বসহায়ক দলের সাথে যুক্ত মহিলা সদস্যাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে মহিলাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার মানোন্নয়ন এবং তাদের সুরক্ষার বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার ও প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মমতা বেহেনজী।
0 মন্তব্যসমূহ