নতুন কারখানা স্থাপন ও কারখানার আধুনিকি করন করছে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম

আগরতলা, ৪ অগাস্ট: বর্তমানে রাজ্যে উৎপাদিত চা পাতার গুণগত মান ভালো হওয়ায় দিন দিন চা পাতার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ধিত চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চা উৎপাদনের লক্ষ্যে ত্রিপুরার চা উন্নয়ন নিগম কারখানাকে আধুনিকীকরণের পাশাপাশি নতুন আরো একটি মিনি কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা।

ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম পরিচালিত পশ্চিম জেলার অন্তর্গত সিমনা এলাকার ব্রহ্মকুণ্ড এলাকার চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের আধুনিকি করন করা হবে। সম্প্রতি চা উন্নয়ন নিগমের তরফে উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন কাউন্সিলের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করা হয়েছিল। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। দুই দফা এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়  শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা।

সেই সঙ্গে ঊনকোটি জেলার অন্তর্গত মাছমারা এলাকার চা বাগানে একটি মিনি চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, ত্রিপুরার শিল্প উন্নয়ন নিগমকে এই কারখানাতে স্থাপনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই শিল্প উন্নয়ন নিগম কার কেন স্থাপনের জন্য টেন্ডার দেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন  তিনি। এই কারখানার স্থাপনের জন্য জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের কাছ থেকে এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, এই টাকা গুলো ইতিমধ্যে চা উন্নয়ন নিগম শিল্প উন্নয়ন নিগমের কাছে দিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ভোকাল ফর লোকাল আহবানে সাড়া দিয়ে ২০১৯ সালে ত্রিপুরার চা উন্নয়ন নিগম রাজ্য সরকারের খাদ্য এবং জনসংভরণ দপ্তরের সহায়তা আগরতলার কিছু ন্যায্য মূল্যের দোকান চা পাতা বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই কয়েক বছরে রাজ্যে যে ২,০৫৬টি ন্যায্য মূল্যের দোকান রয়েছে এই সবকটি ন্যায্য মূল্যের দোকানে এখন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম উৎপাদিত ত্রিপুরা সুন্দরী ব্যান্ডের চা-পাতা বিক্রি হচ্ছে। ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে বছরে প্রায় তিন লক্ষ কেজি চা পাতা বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ত্রিপুরেশ্বরী প্রিমিয়াম নামে নতুন আরো একটি ব্র্যান্ড'র চা-পাতা বাজার যত করা হয়েছে।

 সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান রাজ্যের সবকটি চা বাগান মিলিয়ে বছরের গড়ে ৯০ লক্ষ কেজি চা পাতা উৎপাদিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম পরিচালিত দুটি কারখানায় উৎপাদন হয় ৭লক্ষ কেজি। রাজ্যে সব মিলিয়ে ২২ টি চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র রয়েছে। রাজ্যে উৎপাদিত এই চা পাতা গুলোকে কলকাতা এবং গৌহাটি চা নিলাম কেন্দ্রে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়ে থাকে বলেও এদিন জানিয়েছেন সন্তোষ সাহা।সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারের হাত ধরে রাজ্যের চা উন্নয়ন নিগম ব্যাপকভাবে উন্নতি লাভ করেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।