Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যে তৈরী জৈব রোগনাশক বিতরণ করা হলো কৃষকদের মধ্যে

আগরতলা, ১১সেপ্টেম্বর: ত্রিপুরা কৃষি কলেজ ও ডিরেক্টরেট অফ বায়োটেকনোলজির যৌথ প্রয়াসে রাজ্যের মাটি থেকে উপকারী জীবাণু ট্রাইকোডার্মা অ্যাসপেরিলাম সনাক্তকরণ এবং তার সংখ্যা বৃদ্ধি করে সবজি ফসলের কান্ড, গোড়া পচা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে এই জৈব রোগনাশক তৈরী করা হয়। প্রথমবারের মতো কৃষকদের জমিতে ব্যবহারের জন্য পাণ্ডবপুর এলাকার কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই জৈব ঔষধটির নাম দেওয়া হয়েছে নেটিভ বায়ো এজেন্ট। এই বায়ো এজেন্ট তৈরির প্রকল্পটির আর্থিক সহায়তা করেছে রাজ্যের বায়োটেকনোলজি দপ্তর এবং এই জৈব রোগনাশকটি কৃষি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড: দূর্গা প্রসাদ অবস্তির নেতৃত্বে সনাক্তকরণ করা হয়।
সাধারণত রাজ্যে যে জৈব রোগনাশক বা জৈব সার ব্যবহার করা হয় তার মাতৃকালচার বাইরে থেকে এনে তার সংখ্যা বৃদ্ধি করে কৃষকদের দেওয়া হয়। কিন্তু সম্ভবত এই প্রথম রাজ্যের মাটি থেকে সংগৃহিত জীবাণু ল্যাবরেটরিতে বৃদ্ধি করে কৃষি ক্ষেত্র রোগনাশক রূপে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাণ্ডবপুর গ্রামের ২৫ জন কৃষকের হাতে পরীক্ষামূলক ভাবে এই উপাদান তুলে দেওয়া হয়।  এর সাথে টমেটোর বীজও তুলে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি বীজ শোধন করতে ১০ গ্রাম নেটিভ বায়ো এজেন্ট ব্যবহার করতে হবে এবং মাটি শোধনের ক্ষেত্রে ৫ -১০ কেজি গোবরের সাথে ৪০০ - ৮০০ গ্রাম বায়ো এজেন্ট ব্যবহার করতে হয়। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৫ জন কৃষককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বীজ ও নেটিভ বায়ো এজেন্ট বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ ড: টি কে মাইতি , বায়োটেকনোলজি দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা অঞ্জন সেনগুপ্ত, কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড: ডি, পি, অবস্থি ও অন্যান্যরা। কৃষি কলেজ ও বায়োটেকনোলজি দপ্তরের এই প্রয়াস কৃষি ক্ষেত্রে সফল হলে রাজ্যে জৈব উপাদান তৈরী আরো সহজ হবে এবং কৃষকদের জন্য লাভদায়ক হবে বলে জানিয়েছেন অধিকারীকরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ