আগরতলা, ১৯ সেপ্টেম্বর : প্রতি বছরের মতো এবছরও পশ্চিম জেলার রানীরবাজারের মজলিশপুর এলাকার বিনায়ক সামাজিক সংস্থা গনের পূজার আয়োজন করছে। এবছর তারের গণেশ মূর্তির উচ্চতা ৪১ফুট, কাঁচের ছোট ছোট টুকরো দিয়ে গণেশ মূর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রচুর সংখ্যক লোক সমাগমের মধ্য দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা এবছরের শ্রীশ্রী গণেশ পূজার শুভ উদ্বোধন করেন। এই সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পর্যটন ও পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীসহ এলাকার সমাজসেবী এবং পূজা উদ্যোক্তারা।
উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা বলেন, মানুষ বুঝতে পেরেছে ভগবান ছাড়া কোন কিছু সম্ভব নয়, যা কিছু হয় তা ভগবানের কৃপাতেই হয়। তাই তারা আর ধীরে ধীরে আস্তিকতায় ফিরে আসছে। তিনি আরো বলেন বাঙালিদের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা, মহারাষ্ট্রের মূল উৎসব গণেশ পূজা। কিন্তু ২০১৪-১৫ সাল থেকে ধীরে ধীরে এ রাজ্য গণের পূজার প্রচলন শুরু হয়েছে। এখন প্রচুর সংখ্যাগণের পূজা হচ্ছে। পূজা হচ্ছে একটা মাত্র, এর মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে মানুষের মিলন বন্ধন তৈরি হয়। বর্তমানে রাজ্যের স্থিরতা এসেছে। এক হলে প্রচুর সংখ্যক নিয়োগে এই রাজ্যে আসার আগ্রহ প্রকাশ করছেন এবং আসছেন।
কাঁচের তৈরি ৪১ ফুট উঁচু প্রতিমা এই পূজায় অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ। এই সুন্দর আয়োজনের জন্য তিনি উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান।এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের হাতে স্মারক তুলে দেন।
গনেশ পূজা উপলক্ষে ১০দিন ব্যাপি বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে এই সংস্থার তরফে। পাশাপাশি ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতি ছাত্রদেরকেও সংবর্ধনাও দেওয়া হয় বিনায়ক সামাজিক সংস্থার তরফে। গত বছর তারা ৩১ ফুট উঁচু গণেশ মূর্তি তৈরি করেছে যেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবছর উপযোগী উপলক্ষে রাজ্য এবং ভিনরাজ্যের শিল্পীদেরকে দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ