Advertisement

Responsive Advertisement

খোয়াইতে আমন ধানের রোগ ও পোকা এবং ফার্মার ডাটাবেস বিষয়ক কৃষি সচেতনতা শিবির

খোয়াই, ১৬সেপ্টেম্বর : খোয়াই কৃষি মহকুমার উদ্যোগে ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ দুইদিন মহকুমার তিনটি সেক্টর অঞ্চলে ধানের রোগ ও পোকা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে এক দিবসের কৃষি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। মেগা কৃষি সচেতনতা শিবিরে এলাকার শতাধিক কৃষক, বিশেষ করে MICMP প্রকল্পের আওতায় যারা এই বছর ধান চাষ করেছেন তাদের সাথে দপ্তরের রোগ ও পোকা বিশেষজ্ঞরা দিনভর আলোচনা করয়েছে। তিন সেক্টরে প্রায় তিন শতাধিক নির্বাচিত কৃষক প্রতিনিধিদের হাতে ধানের রোগ পোকার ব্যবস্থাপনার জন্য দপ্তরের উদ্যোগে ঔষধ তোলে দেওয়া হয়। এগুলি তোলে দেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। চেবরি সেক্টরে এলাকার জনপ্রিয় বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী কৃষকদের সম্বোধন করতে গিয়ে বলেন, যে এই ভাদ্র মাসের আবহাওয়ায় যখন ধান ক্ষেতের পাতা মোড়ানো পোকা এবং মাজরা পোকার আক্রমণের তীব্র সম্ভাবনা, তখন দপ্তরের উদ্যোগে এলাকার কৃষকদের হাতে আগাম ঔষধ তোলে দেওয়া বা এই ব্যাপারে দিনভরের কর্মশালার আয়োজন করা নিশ্চিত ভাবে রাজ্য সরকার তথা কৃষি দপ্তরের রাজ্যের কৃষকদের প্রতি আন্তরিকতার জানান দেয়। তিনি কৃষকদের ডাটা বেসে নাম নথিভুক্ত করা নিয়ে তিনি গ্রামের প্রধান উপপ্রধানদের এলাকায় বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান করেন। অনুরূপ ভাবে সিংগিছড়া সেক্টরের ছন্দনীড় কমিউনিটি হলে ১০০ কৃষকদের হাতে ঔষধ তুলে দেন গ্রামের উপ প্রধান এবং প্রায় সাতটি গ্রামের প্রধান, উপ প্রধানরা। গণকি সেক্টরে আরো ১০০ কৃষকের হাতে ঔষধ তুলে দেন খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দাস। এইদিন স্থানীয় পহরমুডার বলাকা হলে কৃষকদের সাথে সাথে সমস্ত গ্রামের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উদ্যেশ্যে ভাইস চেয়ারম্যান আহ্বান রাখেন যেন নির্ধারিত সময়ের মাঝে এলাকার সকল কৃষকদের ফার্মার ডাটাবেসের আওতায় নথিভুক্ত করা যায়। আগামীতে ডেটাবেসে নাম না থাকলে এলাকার কৃষকরা কৃষি দপ্তরের বিভিন্ন সরকারি সুবিধা থেকে যেন বঞ্চিত না হয়ে পড়েন। খোয়াই মহকুমার কৃষি তত্ত্বাবধায়ক শ্রীকান্ত নাথ সংবাদ প্রতিনিধিদের জানান মূলত এই মহকুমার ২৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের এবং ১ টি পৌর সভার নির্বাচিত প্রধান, উপপ্রধান এবং কাউন্সিলরদের সাথে সাথে তিনটি অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক কৃষকদের তিনটি ব্যাপারে সচেতন করতে এই উদ্যোগ। প্রথমত MICMP প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকদের সাথে মতবিনিময়, মহকুমায় ধানের ক্ষেতে রোগ পোকা নিয়া আগাম ব্যাবস্থাপনা এবং ফার্মার ডেটাবেসে ১০০ শতাংশ কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করা। এই দুইদিনের অনুষ্ঠানে মহকুমার কৃষক এবং জনপ্রতিনিধিরা বেশ খুশি এবং আগামী দিনে যেন দপ্তর কৃষকদের সাথে থাকে এই আশা ব্যাক্ত করেছেন। তিন সেক্টরের সেক্টর অফিসাররা এবং ভিএলডাব্লিউদের একান্ত প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠান তিনটি সাফল্য মন্ডিত হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ