Advertisement

Responsive Advertisement

মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলের সহযোগিতা চাই: মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ২৪ সেপ্টেম্বর: নেশা বা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার। নেশার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিয়ত অভিযান জারি রেখেছে পুলিশ। আর এতে সাফল্যও পাওয়া যাচ্ছে। মাদক বা নেশা কারবারিদের কোন অবস্থাতেই রেয়াত করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নেশাদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রেও উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। 
রবিবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত ৫৫তম রাজ্যভিত্তিক এনএসএস দিবস ও নেশামুক্ত ত্রিপুরা শীর্ষক আলোচনাচক্রের সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে নেশার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের কঠোর পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত করেন। তিনি বলেন, যারা নেশার কবলে পড়েছে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনিক স্তরে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মাদক বা নেশার বিরুদ্ধে সমাজের প্রত্যেক মানুষকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের জন্য সরকারের পাশে থেকে এগিয়ে আসতে হবে এনএসএস স্বেচ্ছাসেবীদেরও। নেশার বিরুদ্ধে জন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এমনিতেই সেবামূলক কাজে জাতীয় সেবা প্রকল্পের (এনএসএস) স্বেচ্ছাসেবীদের ভূমিকা অপরিসীম। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশের জন্য কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে এনএসএস অন্যতম ভূমিকা রাখছে। 
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরো বলেন, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ১৯৬৯ সালে এনএসএস প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। প্রথমে মাত্র ৪ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে এনএসএস'র পথ চলা শুরু হয়। কিন্তু এখন সারা দেশে এনএসএস এর প্রায় ৪২ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন। রাজ্যের ৬টি কলেজে মাত্র ৬০০ স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ১৯৭৬ সালে এনএসএস'র পথ চলা শুরু হয়েছিল। আর এখন রাজ্যে এনএসএস ইউনিটের সংখ্যা রয়েছে ৪০০টি। স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩০০ জন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, প্রকৃত মানুষ হওয়া ও নিজের অর্ন্তনিহিত মেধাকে শক্তিশালী করা ছাত্র জীবনের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ। তবেই যুব সম্প্রদায় সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। সরকার জনগনের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এগুলির সফল বাস্তবায়নে যুব সমাজ ও এনএসএস স্বেচ্ছাসেবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দেশের যুব সম্প্রদায়কে নিয়ে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন। তাই বিভিন্ন সময়ে তিনি সরাসরি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করে থাকেন। 
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, এনএসএস রিজিওনাল সেন্টার গুয়াহাটির অধিকর্তা জংজিলং, রাজ্য এনএসএস অফিসার ডা. চিত্রজিৎ ভৌমিক, ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ, সৈনিক কল্যাণ বোর্ডের ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জে পি তিওয়ারি সহ অন্যান্য অতিথিগণ। 
অনুষ্ঠানে ২০২২-২৩ সালে এনএসএস কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য পারদর্শীতার জন্য রাজ্যের সেরা প্রোগ্রাম অফিসার, এনএসএস ইউনিট এবং স্বেচ্ছাসেবীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার স্বরূপ তাদের হাতে ট্রফি এবং শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ