আগরতলা ১০অক্টোবর : আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বদরপুর ধর্মনগরের মধ্যে ট্রেন লাইনের বৈদ্যুতিকরণের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে দেখা হবে। এ বছরের নভেম্বরের শেষ নাগাদ বদরপুর থেকে আগরতলার মধ্যে ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বৈদ্যুতিক হয়ে যাবে। তার জন্য এখন বৈদ্যুতিক লাইন বসানোর কাজ জোর কদমে এগিয়ে চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগরতলা এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব। তিনি আরো জানান ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সাবরুম পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা বিদ্যুৎ চালিত হয়ে যাবে। ট্রেন পরিষেবায় বৈদ্যুতিকরণ হয়ে গেলে গতি অনেক বেড়ে যাবে বলে জানান। ২৩৫ কোটি টাকা খরচা করে আগরতলা স্টেশনকে বিশ্বমানের রেলওয়ে স্টেশনে উন্নীত করা হবে। এই সমস্ত কাজের অগ্রগতি সহ অনুষঙ্গিক আরো কিছু কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এদিন আগরতলায় এসেছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব। তিনি তার সঙ্গে নিয়ে এসেছেন লামডিং এর ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার তথা ডিআরএম প্রেম রঞ্জন কুমার এবং সার্কেল অফিসার তথা সিও বিবেক শ্রীবাস্তবকে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের আগে মহাকরণে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা এবং পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন। রাজ্যের রেলের কাজকর্মের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পাশাপাশি তিনি জানান ১৫ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগরতলা এবং সাব্রুম এর মধ্যে নতুন করে আরো একটি ডেমো ট্রেন চালু করা হবে। সেইসঙ্গে মুম্বাই থেকে আগরতলার মধ্যে লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস অনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা ও আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে এক্সেলেটর সার্ভিস চালু করা হবে। এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেও জানিয়েছেন।
আগরতলা ট্রেন লাইনকে ডাবল লেনে উন্নীত করার বিষয়ে সাংবাদিকদের তরফে জিজ্ঞাসা করা হলে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার তথা ডিআরএম প্রেম রঞ্জন কুমার বলেন, লামডিং থেকে আগরতলা পর্যন্ত ট্রেন লাইনকে ডাবল লাইন করার বিষয়টিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে, লঙ্কা থেকে চন্দ্রনাথপুর পর্যন্ত এবং অন্য ভাগে চন্দ্রঘোনাথপুর থেকে আগরতলা পর্যন্ত। লঙ্কা থেকে চন্দ্রনাথপুরের মধ্যের কাজের ডিপিআর ২০২৪ সালের মধ্যে রেল বোর্ডে পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি চন্দ্রনাথপুর থেকে আগরতলা পর্যন্ত ডাবল লেনে উন্নীত করার কাজের সার্ভে চলছে।
আগরতলা আখাউড়া রেলপথের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জিএম'কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিন্তপুর স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রেলপথের নির্মাণ কাজ চলছে। এবছরের শেষ নাগাদ এই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক এই পথে পণ্য আনা নেওয়ার কাজ চলবে। পরবর্তী সময় যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। সব মিলিয়ে আগামী কিছুদিনের মধ্যে রাজ্যের ট্রেন পরিষেবার আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ