অয়ন নাগ, ধর্মনগর ২৭অক্টোবর : দশমীর রাতে বাথরুমে পড়ে গিয়ে ব্রেন স্টোক হয়েছিল উত্তর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুমিত দে। ধর্মনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চিকিৎসকরা আগরতলার জিবি হাসপাতালে রেফার করেন। জিবি হাসপাতালে তার ব্রেনের অপারেশন হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা ৭২ ঘন্টা সময় দিয়েছিলেন পর্যবেক্ষণ করে রাখার জন্য। কিন্তু এই ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই সবাইকে ফাঁকি দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সুমিত চলে গেল না আসার দেশে।
ধর্মনগরের নয়াপাড়া নিবাসী এই সুমিত দে ২০১৪ সালে উত্তর জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার থেকে ধাপে ধাপে এগিয়ে উত্তর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদে আসিন ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সুমিতের মৃত্যু এর খবর ধর্মনগরে ছড়িয়ে পড়তে একটা শোকের স্তব্ধতা নেমে আসে উত্তর জেলা জুড়ে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ প্রথমে নিয়ে আসা হয় নয়া পাড়ার অ্যাথলেটিক ক্লাব প্রাঙ্গনে। সেখানে এলাকাবাসীরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হয় জেলা বিজেপি কার্যালয়ে। সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, রাজ্যের যুব কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী টিংকু রায়, জেলা বিজেপি সভানেত্রী মলিনা দেবনাথ, ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার, ধর্মনগর মন্ডলের সভাপতি শ্যামল কান্তি নাথ, উত্তর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ, যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা এবং মন্ডলের বিভিন্ন স্তরের কার্যকর্তারা। তারা প্রত্যেকে চোখের জলে বিদায় জানায় উত্তর জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা যুবনেতা সুমিত দে কে।
মাত্র ৪২ বছর বয়সে সবাইকে বিদায় জানিয়ে না আসার দেশে সুমিত দের চলে যাওয়াকে কেউই মেনে নিতে পারছে না। তার একটি মাত্র ছেলে রয়েছে যে নবম শ্রেণীতে পাঠরত। বিজেপির জেলা কার্যালয় থেকে দেহ সোজা নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মনগরের শ্মশানে। সেখানেই পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায় যুবনেতার মরদেহ।
0 মন্তব্যসমূহ