Advertisement

Responsive Advertisement

উন্নত দেশ ও সমাজ গঠনে যুব সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী



আগরতলা, ১১ অক্টোবর: যুব সমাজ হচ্ছে দেশের আগামীদিনের চালিকাশক্তি। যুবাদের উপর নির্ভরশীল দেশের ভবিষ্যৎ। উন্নত দেশ ও সমাজ গঠনে যুব সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ আমাদের দেশের মানব সম্পদের প্রায় ৬৫ শতাংশ হচ্ছে যুব শক্তি। এই যুবশক্তি আমাদের দেশের গর্ব। আজ আগরতলার নজরুল কলাক্ষেত্রে দু'দিনব্যাপী রাজ্যভিত্তিক যুব উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা মানিক সাহা একথা বলেন। ভারত সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অধীন নেহেরু যুব কেন্দ্রের ত্রিপুরা শাখার উদ্যোগে এবং ত্রিপুরা সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তরের সহযোগিতায় এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
অনষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যুব সমাজকে পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কর্তব্যবোধের ভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য পঞ্চপ্রাণ নীতিকে গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই পঞ্চপ্রাণগুলি হল- বিকশিত ভারতের লক্ষ্য, পরাধীনতার সকল চিন্তা থেকে মুক্তি, ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারের গর্ব, ভারতীয় ঐক্য ও সংহতি এবং নাগরিক কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রীর এই পঞ্চপ্রাণ আহ্বানকে সামনে রেখে যুব উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশপ্রেমের আদর্শে যুব সমাজকে উজ্জীবিত করা। মুখ্যমন্ত্রী স্বামী বিবেকানন্দের উদ্ধৃতির উল্লেখ করে বলেন, যুবাদের অন্তর্নিহিত শক্তির পূর্ণ বিকাশ না ঘটলে প্রকৃত মানুষ হিসাবে গড়ে উঠা সম্ভব নয়। তাই যুব সমাজকে দেশাত্মবোধক ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী হর ঘর তিরঙ্গা, মেরি মাটি মেরা দেশ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এই কর্মসূচিগুলির মাধ্যমে যুব সমাজের মধ্যে দেশাত্মকবোধক ভাবনা জাগ্ৰত করার পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটা ঐতিহ্য ও পরম্পরা রয়েছে। আগে বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা অধ্যয়নের জন্য নালন্দা তক্ষশিলায় আসতো। দেশের সেই ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে আবারও ফিরিয়ে আনার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেশার কারণে যুব সমাজের একটা অংশ বিপথে পরিচালিত হচ্ছে। তাই নেশার বিরুদ্ধে যুব সমাজকে সোচ্চার হয়ে উঠতে মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সমৃদ্ধ কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে যুব সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, ভারতবর্ষ এখন দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে। যুব সমাজের প্রতিভা বিকাশে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পুথিগত শিক্ষার পাশাপাশি দেশের ছেলেমেয়েরা নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখন বিভিন্ন সম্পদ তৈরী করছে। এটাই হচ্ছে পরিবর্তিত ভারত। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য্য। উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত মন্টু দেবনাথ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেহেরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের ত্রিপুরা শাখার রাজ্য অধিকর্তা জবা চক্রবর্তী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ