আগরতলা, ৬ অক্টোবর: নীরমহল পর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার জন্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। স্বদেশ দর্শন-১ প্রকল্পে নীরমহলের পরিকাঠামো উন্নয়নে ৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। জি-২০'র বিজ্ঞান সম্মেলন উপলক্ষে নীরমহলের পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আজ মেলাঘরের রাজঘাটে ৩দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী নীরমহল জল উৎসবের উদ্বোধন করে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। উল্লেখ্য, আজ থেকে মেলাঘরের রাজঘাট মুক্তমঞ্চে শুরু হয়েছে ৩দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী নীরমহল জল উৎসব। তা চলবে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। পর্যটন দপ্তর, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর, রুদ্রসাগর উদ্বাস্তু মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, মেলাঘর পুরপরিষদ এবং সোনামুড়া মহকুমা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেলাঘর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অনামিকা ঘোষ পাল রায়।
ঐতিহ্যবাহী নীরমহল জল উৎসবের উদ্বোধন করে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, নীরমহল সহ রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে পর্যটন দপ্তর। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই নীরমহলে লাইট ও সাউন্ড সিস্টেম চালু করা হবে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠছে তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জনসাধারণের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক কিশোর বর্মণ, সমাজসেবী দেবব্রত ভট্টাচার্য প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীগণ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার, সোনামুড়া মহকুমার মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস, নলছড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান জওহরলাল ঘোষ, রুদ্রসাগর উদ্বাস্তু মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি পবিত্র কুমার দাস প্রমুখ।
0 মন্তব্যসমূহ