আগরতলা, ২৮ অক্টোবর: প্রতিবছর লক্ষ্মী পূজার আগে থেকে প্রশাসন ব্যবসায়ীদের সচেতন করে শব্দবাজি বিক্রি না করার জন্য। কিন্তু তারপরও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সরকারি বিধি নিষেধকে উপেক্ষা করে শব্দ বাজি বিক্রি করে। শনিবার লক্ষ্মী পূজার দিন সদর মহকুমা প্রশাসন, ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার ফাঁড়ি থানা যৌথ ভাবে শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
তারা রাজধানীর মহারাজগঞ্জ বাজার সহ বড়বাজার গুলিতে এদিন অভিযান চালায় এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ঘর থেকে বিপুল পরিমাণে শব্দবাজি আটক করে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তী সময়ে এগুলিকে সদর মহকুমা শাসকের অফিসে জলে ভিজিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়।
এদিনের এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সদর মহকুমার ডিসিএম ব্রজেন্দ্র ত্রিপুরা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে উপস্থিত ছিলেন প্রকাশ পাল এবং মহারাজগঞ্জ ফাঁড়ি থানার ওসি মৃনাল পাল। তারা বিশাল সংখ্যক পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী নিয়ে অভিযান চালান বাজার গুলিতে।
অভিযান শেষে ডিসিএম ব্রজেন্দ্র ত্রিপুরা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যে বাজিগুলো শব্দ দূষণ করে যেমন চকলেট চেইন ক্রেকার সাউন্ড ক্রেকার এই বাজিগুলোকে বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। মূলত এই বাজিগুলি ৫ মিটার দূরে ৯০ডেসিমেলের বেশি শব্দ উৎপাদন করে তাই এগুলোকে নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ধরনের বাজিগুলি অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। এদিন সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার টাকার বাজি আটক করা হয়েছে। আগামী দিনেও এ ধরনের অভিযান জারি থাকবে বলে জানান তিনি। এসব এই সব বাজি হার্ট, প্রেসারসহ নার্ভের রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এইসব বাজি বিক্রি এবং না ফাটানোর জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয় প্রশাসনের তরফে বলেও জানান।
0 মন্তব্যসমূহ