আগরতলা, ৪অক্টোবর : নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে সরকার প্রচেষ্টা নিয়েছে। নেশা কারবারের সাথে যুক্তদেরও কঠোর হাতে দমন করা হবে। নেশার বিরুদ্ধে সরকার জিরো টোলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আজ আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এক অনুষ্ঠানে এজিএমসি ও জিবিপি হাসপাতালে এস-ওএসটি সেন্টার এবং এআরটি প্লাস সেন্টারের সম্প্রসারণ করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নড়সিংগড়স্থিত মানসিক হাসপাতালের এফআইসিটি সেন্টারের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন অমূল্য। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের ফলে অনেকেই অকালে প্রাণ হারান। তাছাড়াও অনেকে মারণ রোগেরও শিকার হন। নেশার কুপ্রভাবে এইচআইভি-র মত মারণব্যাধিতে যুব সমাজ আক্রান্ত হচ্ছে। এই নেশা থেকে দূরে থাকার একমাত্র উপায় স্বাস্থ্যকর ও শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নেশাহীন জীবন ও নেশামুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রাজ্য সরকারও নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সিট গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরায় সবচেয়ে বেশি নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র সরকারের একার প্রচেষ্টায় রাজ্যকে নেশামুক্ত করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন নাগরিকদের সচেতনতা। সবাইকে নেশার বিরুদ্ধে ও নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলা সম্ভব। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা হচ্ছে সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। রাজ্যের ৮ জেলায় নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানও রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুমান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার মতো রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নামে একটি স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ডা. শঙ্কর দাস। তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপ কুমার সাহা। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব ড. দেবাশিস বসু, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা ড. ডি. কে. চাকমা, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. সুপ্রিয় মল্লিক, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস প্রমুখ। ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন জিবিপি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এইচওডি ডা. অরুনাভ দাসগুপ্ত।
0 মন্তব্যসমূহ