তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রাজধানীর সিটি সেন্টার এলাকায় এইচ বি রোডে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে, নারকেল ভেঙে ও সবুজ পতাকা নেড়ে মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরা কার্নিভালের সূচনা করেন। প্রথমে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের একটি সুসজ্জিত গাড়ি অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন থেকে দশমীঘাটের দিকে যায়। এর পর একের পর এক ক্লাব ও সার্বজনীন দূর্গাপূজা কমিটির প্রতিমা বড় বড় ট্রাকে করে অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে হয়ে দশমীঘাটের দিকে এগিয়ে যায় এবং হাওড়া নদীতে গিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করে। বিচারক মন্ডলীর দ্বারা নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ক্লাব ও সংস্থাকে এবছরও পুরস্কৃত করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি-সংস্কৃতি জাতি ও জনজাতিদের মধ্যে সুদৃঢ় মেলবন্ধন গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছে কার্নিভাল। এখানকার বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠান জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে। যা এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় রয়েছে। ফলে এবছর দুর্গাপূজার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এবছর সারা রাজ্যেই শাস্তি ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দুর্গাপূজা আয়োজিত হয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যেও একটা আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ