আগরতলা, ১৭ অক্টোবর: রাজ্যের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার। মানুষকে পাশে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই সরকার ও ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুদিন আগে পিএম - বিশ্বকর্মা নামে একটি নতুন প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের প্রথমে ১ লক্ষ টাকা, এরপরে ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিশেষ ছাড়যুক্ত ঋণ দেওয়া হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় বাজেটে ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার ৮ টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডে গরীব অংশের মানুষের হাতে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
শারদোৎসবকে সামনে রেখে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় সামাজিক কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোকে ঘিরে যাতে গরীব অংশের মানুষের মুখে হাসি ফুটে সেই লক্ষ্যে গত বারের মতো এবারও বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি এলাকার বিধায়ক হওয়ার সুবাদে স্থানীয় মানুষের সঙ্গেও জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। দুদিন আগেও এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় বস্ত্র বিতরণে অংশ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অবস্থায় মঙ্গলবার বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিক নির্দেশনায় রাজ্য সরকারও সব কা সাথ, সব কা বিকাশ, সব কা বিশ্বাস - এই ভাবনায় কাজ করে যাচ্ছে। এই ভাবনা ছাড়া সার্বিক বিকাশ সম্ভব নয়। আগে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করে রাখা হতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্ট ইস্ট পলিসি চালু করার পর এই অঞ্চল দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। তিনি ত্রিপুরাকে হিরা মডেল দিয়েছেন। হিরা মডেলের কারণে রাজ্যে ৬টি জাতীয় সড়ক হয়েছে। আরো ৪টি জাতীয় সড়ক গড়ে তোলা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্যবাসীর সার্বিক কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সামাজিক ভাতার পরিমাণও আগের চাইতে অনেক বাড়ানো হয়েছে। আগে মাত্র ৭০০ টাকা সামাজিক ভাতা দেওয়া হতো। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে আসার পরই সেই ভাতার পরিমাণ দুই দফায় বাড়িয়ে মাসিক ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এবারের বাজেটে নতুন করে আরো প্রায় ১০০টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য আর্থিক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। স্টেট হাসপাতালগুলির উপর রোগীদের চাপ কমাতে জেলা হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই সামাজিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পুর কর্পোরেটর রত্না দত্ত সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজ বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬, ২০, ৩২ এবং ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আর্থিকভাবে দূর্বল অংশের মানুষের হাতে শারদীয়ার বস্ত্র তুলে দেন। রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে শারদীয়ার আগাম শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
0 মন্তব্যসমূহ