আগরতলা, ৬অক্টোবর : স্পন্দন ও মূর্ছনা শিল্পকলা একাডেমীর প্রথম নিবেদনে আগরতলার সেরা রাঁধুনীদের নিয়ে গত ১ অক্টোবর আয়োজিত হল নারী দশভূজা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিকে দুটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছিল প্রথম পর্যায়ে সেরা রাঁধুনি প্রতিযোগিতায় অন্তিম বাছাই পর্ব করে প্রতিযোগিদের মধ্যে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় ঘোষণা ওদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ। এই বিচারকের ভূমিকা যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন ওরা হলো বাবলি নাগ মৈত্র বাবলিস কিচেন, শ্বেতা সাহা হোটেল পার্ক লাইন এমডি, রিতা জৈন মারুতি জৈন উদ্যোগ। তাছাড়া স্পন্দন পরিবার থেকে বিচারক হিসেবে ছিলেন সঙ্গমিত্রা ভট্টাচার্যী, সুষমা মল্লিক ও জয়া গৌতম গাঙ্গুলী। প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রী সিদ্ধার্থ শংকর দে এডভোকেট জেনারেল অব ত্রিপুরা, সম্মানিত অতিথি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী আইপিএস, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ, ড.চন্দ্রানী বিশ্বাস, ড: অৰ্চনা জৈন দত্ত।
অনুষ্ঠানে নারী শক্তিকে মা দুর্গার সাথে তুলনা করেছেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা ড. হৈমন্তী ভট্টাচার্যী। উনার বক্তব্যে উনি বলেন ভবিষ্যতে মহিলাদের স্বশক্তি করনের জন্য অনেক কর্মপন্থা হাতে নিতে চলেছে স্পন্দন সামাজিক সংস্থা।
সেরা রাঁধুনি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন শ্রীমতি মিতা চক্রবর্তী দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন অনুভা সিনহা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন কেয়া ভট্টাচার্যী। অনেক বাণিজ্যিক সংস্থা সেরা রাধুনী প্রতিযোগিতাটিতে প্রতিযোগিনীদের নানা ধরনের উপহার দিয়ে অনুষ্ঠানটিকে সমৃদ্ধ করেন। অনুষ্ঠানটিতে অন্নপূর্ণা জুয়েলারি সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে মূর্ছনা শিল্পকলার একাডেমীর কালচারাল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মূর্ছনা একাডেমীর প্রিন্সিপাল শ্রী সুদেষ্ণা কর পুরকায়স্থ্যর নেতৃত্বে মূর্ছনা একাডেমীর সমস্ত বাচ্চারা নানা ধরনের নৃত্য পরিবেশন করে দর্শকদের মন ভরিয়ে তোলে। দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে আমরা আমাদের সাথে পেয়েছি শ্রী জবা চক্রবর্তী মহাশয়া ডিরেক্টর, নেহেরু যুব কেন্দ্র ডঃ আশিস বৈদ্য বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শ্রী অমিত ভৌমিক বিশিষ্ট সাংবাদিক। ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধী শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিতে চলেছে স্পন্দন এবং মূর্ছনা শিল্পকলা একাডেমী যৌথভাবে। অভিনব অনুষ্ঠানটি শহরের গুনী মহিলাদের উপস্থিতিতে সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটিতে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করে সংস্থা সদস্য শ্রী সিদ্ধার্থ দত্ত। স্পন্দন সামাজিক সংস্থার সম্পাদিকা হৈমন্তী ভট্টাচার্য্য সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ