আগরতলা, ৩১ অক্টোবর: লক্ষ্মীপুজোর রাতে উদয়পুরের ফুটামাটি এলাকায় এক সাত মাসের গর্ভবতী গৃহবধূর গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘটনার পর রাতে আধপোড়া ওই গৃহবধূকে বেদম মারধর করার। বর্তমানে রাজধানী আগরতলার জিবি হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ঐ গৃহবধূ লিপিকা দাস।
এই ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিবি হাসপাতালে গিয়ে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মার নেতৃত্বে একটি দল দেখা করেন ও কথা বলে অগ্নিদ্বন্দ্ব গৃহবধূর সঙ্গে। ঘটনার তদন্তের পর এক সাক্ষাৎকারে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মা বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। মহিলার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। মহিলার বাপের বাড়ী এতটাই দুর্বল যে এখন পর্যন্ত এফআইআর পর্যন্ত করাতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন মহিলা স্বীকার করেছে যে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার সে। প্রতিদিন মারধর করা হয় তাকে। এবার ৫০ শতাংশ পুড়েছে, আগামীতে হয়তো ১০০ শতাংশই পুড়িয়ে দিতে পারে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এমনটাই আশঙ্কা অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ লিপিকার। তাই সে আইনের দ্বারস্থ হতে চায়। প্রশাসনের কাছে চেয়ারপারসন আহ্বান জানান এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সকলেরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন নারী নির্যাতনের বিষয়ে দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না। অভিযুক্ত ব্যক্তি যে কোনো দলের কিংবা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি হলেও এই ধরনের ঘটনার শাস্তি অবশ্যই হবে। আগামী দিনে লিপিকার পাশে থেকে তাকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মহিলা কমিশন বলেও জানান।
এদিন হাসপাতাল পরিদর্শনকালে চেয়ারপারসনের ভাইস চেয়ারপারসন অস্মিতা বণিক ও সদস্যা ডালিয়া সিনহা।
0 মন্তব্যসমূহ