আগরতলা, ০১ অক্টোবর : দেশের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জনকল্যাণমুখী কাজের প্রতি দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলীয় কর্মী সমর্থকরাও। তাই তাঁরা বিরোধী দলের প্রতি ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে, উন্নয়নের স্বার্থে যোগদান করছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। রবিবার ৯ বনমালীপুর বিধানসভা এলাকার কল্যাণীতে আয়োজিত, ভারতীয় জনতা পার্টির এক যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন তিনি এলাকার ৭০০ জন বিরোধী দলীয় ভোটারের হাতে পদ্ম পতাকা তুলে দিয়ে বিজেপি দলে বরণ করে নেন।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সর্বত্রই মোদী ঢেউ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজ্যের সকল অংশের মানুষ অনুধাবন করতে পারছেন মোদিজীর পক্ষেই রাজ্যের বিকাশস সম্ভব। এদিনের সমাবেশে সিপিআইএম, কংগ্রেস এবং অন্যান্য দল ছেড়ে যারা ভারতীয় জনতা পার্টিতে সামিল হয়েছেন, তাঁদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সত্যিকারের উন্নয়ন এবং সুশাসন উপহার দেওয়া একমাত্র বিজেপি সরকারের পক্ষেই সম্ভব।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সাধারণ মানুষ সবসময় শান্তি ও সম্প্রীতি চেয়েছে। সিপিআইএম শাসনকালে শুধুমাত্র কংগ্রেসই এখানে বিরোধী দল ছিল। কিন্তু কংগ্রেস সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েছে এবং তাঁদের আস্থা বার বার ভেঙে দিয়েছে। ২০১৪ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের ক্ষমতায় আসেন, তখন মানুষ বুঝতে পারে কীভাবে উন্নয়নের জন্য সরকার চালাতে হয়। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বেই ২০১৮ সালে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসকদলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা নির্বাচনের সময় কোন প্রকার প্ররোচনায় পা না দেয়ার আহবান রেখেছিলেন। নির্বাচনের নামে হিংসার বিরুদ্ধে স্পষ্ট বক্তব্য ছিলো। সাধারণ মানুষ তাকে গ্রহণ করেছে। শান্তিপূর্ণভাবে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা বিগত সরকারের সময়ে লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি বলেন, মানুষ এই শান্তিকে সমর্থন করেছে বলেই, দ্বিতীয়বার রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যে কোনও সাইন্টিফিক রিগিং থেকে মুক্ত হতে চাই, যা সিপিআইএম দল তাঁদের আমলে করেছিল। কিন্তু বিজেপি সরকারের সময়ে দুটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
এদিনের যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সদর শহর জেলার সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, ৯ বনমালীপুর মন্ডল সভাপতি সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বরা।
0 মন্তব্যসমূহ