Advertisement

Responsive Advertisement

আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে “শেখ রাসেল দিবস ২০২৩” পালিত

আগরতলা, ১৮ অক্টোবর: আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে বুধবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন স্মরণে "শেখ রাসেল দিবস- ২০২৩ উদযাপন করা হয়। 
কর্মসূচী মূলত দুই পর্বে পালিত হয়েছে। প্রথম পর্বে আগরতলার একটি হোটেলে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সকল সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর এই দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়। তারপর শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং শেখ রাসেলের নির্মল, প্রানবন্ত ও নির্ভীক জীবনের উপরে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব রাখেন বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব মোঃ আল আমীন, ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এস সি দাস, মানবাধিকার কমিশনের সচিব রতন বিশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব স্বপন কুমার ভট্টাচার্য, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য। এই আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে আগত অতিথি হিসাবে বিশেষ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের
বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়।
বক্তারা বাংলাদেশের মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপনে বাংলাদেশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের যে অটুট সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে তার ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বিশেষভাবে, পৃথিবীতে আর কোন শিশু যেন শেখ রাসেলের মত অধিকার বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে সকলকে স্ব স্ব অবস্থানে সচেতন হওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ। তিনি তার বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের কাল রাতে নিহত সকল শহীদকে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শখ করে তাদের আদরের ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন "রাসেল"। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এই নিষ্পাপ শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘূর্ণিত খুনীচক্র। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ভারা চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল বঙ্গবছর পুরো পরিবার ও তাঁর আদর্শকে। কিন্তু খুনীচক্রের সে স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে এবং শেখ রাসেল আজ বিশ্বে অধিকার বঞ্চিত শিশুদের প্রতীক ও মানবিকসত্তা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে।
 দ্বিতীয় পর্বে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের অংসগ্রহনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে ঈশ্বর পাঠশালার ৫ জন দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের "শেখ রাসেল শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩" প্রদান করা হয় এবং অনাথ আশ্রমের অনাথ ও দুঃস্থ শিশুদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। শেখ রাসেল দিবস- ২০২০ উপলক্ষে সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন, আগরতলার প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ