বক্সনগর, ২৭ অক্টোবর : সবেমাত্র দুর্গো উৎসব শেষ হলো, তার রেশ কাটতে না কাটতেই, হাজির ধন ও সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মী। সনাতন ধর্মের ১৩ পার্বণের মধ্যে অন্যতম পার্বন হলো কুজাগরি লক্ষ্মী পুজো। আগামীকাল শনিবার অক্টোবর পূর্ণিমা তিথি তার মধ্যেই লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠান হবে। পূজাগরি কথার অর্থ হল, কে জেগে আছো, মা লক্ষ্মী প্রতি ঘরে ঘরে উঁকি দিয়ে ভক্তদের মন প্রাণ পরীক্ষা করেন এবং ধন সম্পদের আশীর্বাদ দান করেন বলে প্রবাদ রয়েছে। তাইতো আমরা বলে থাকি ধন্যে ধানে, পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা, এবং ধন ও সৌভাগ্যের দেবী হচ্ছেন স্বয়ং লক্ষ্মী, বিশেষ করে আসাম, ত্রিপুরা, বাংলাদেশ পশ্চিমবাংলা, ওইসব অঞ্চলের লোকেরাই লক্ষ্মী পূজার জাঁকজমক পুণ্য এবং আনন্দ উল্লাস করে, প্রতি ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মী পূজিত হবেন। লক্ষ্মীর পাঁচালীতে ব্রতি আছে এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে, আমার ঘরে থাকো আলোয় করে,শঙ্খ বাজিয়ে মাকে ঘরে এনেছি সুগন্ধি ধূপ জ্বালিয়ে আসন পেতেছি ,। পূর্ণিমার রাত্রিতে জলসা ও চাঁদের আলোয় আলোকিত মা লক্ষ্মী পুজিত হবেন সর্বত্র ঐদিন সমস্ত পাড়ার ছেলে মেয়েরা বাজি ফটকা ফাটিয়ে আনন্দ উপভোগ করবেন, এবং ঐদিন সবচাইতে বেশি মাংস আহার প্রত্যেক পরিবারেই । বর্তমান বাজারগুলিতে জিনিসপত্রের নাম আকাশছোঁয়া হলেও কিন্তু লক্ষ্মীর তেমন একটা বেশি মূল্য নয়, মোটামুটি নাগালের ভিতরে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত নূন্যতম।তার পরও লক্ষ্মী পূজা বলে কথা। প্রতি বাড়িতে হবে রংবেরঙের চিড়া, মুড়ি, নারিকেলের নাড়ু এবং ভিন্ন ধরনের লাড্ডু, ফুলকা, ফুচকি,সুজি পায়েস, বিভিন্ন ধরনের ফল পসারির প্রসাদ। সমস্ত বন্ধুরা আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য অর্থ সম্পদ সৌভাগ্য পূজা করে থাকেন।
0 মন্তব্যসমূহ