Advertisement

Responsive Advertisement

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের আর্থিক সহায়তা করবে সরকার : মন্ত্রী রতন লাল নাথ

আগরতলা, ১৮ নভেম্বর: সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে রাজ্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। কৃষকদের আর্থিক সহায়তা করা হবে রাজ্য সরকারের তরফে। এখন মাঠের আমন ধান তোলার সময়। ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ের কারনে মাঠের ধান গাছ মাটিতে পড়ে গিয়েছে। একই ভাবে শীতকালীন সবজি ক্ষেতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে আলু কপিসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজি ক্ষেতে ক্ষয়ক্ষতি বেশী হয়েছে। যারা শেষের দিকে মাঠে আলু চাষ করেছেন তারা আশঙ্কায় রয়েছে বৃষ্টির ফলে জমিতে লাগানো আলু বীজ পচে যেতে পারে।
রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের পাশে দাঁড়াবে। দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ নিজে জানিয়েছেন এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করবে দপ্তর। এখন পর্যন্ত কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পুরোপুরি হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকরা রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি আরো জানান কয়েকজন কৃষক সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলেছেন, তারা জানিয়েছেন ধানের চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আলু এবং শীতকালীন সবজির। কারণ কিছুদিন আগে আলু লাগানো হয়েছে। বৃষ্টির ফলে আলু গাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। ধানের ক্ষেত্রে যে ক্ষতি হয়েছে তা হলো, বাতাসের কারনে ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এর ফলে এই গাছগুলি থেকে ধান সংগ্রহ করতে পরিশ্রম এবং টাকা বেশি খরচ হবে। গোটা বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।তাদের আর্থিক সহায়তা করবে দপ্তর। 
তবে এবারের ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরের বলেও জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। ঝড়ের কারণে বহু গাছ ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি এবং ট্রান্সফর্মার নষ্ট করেছে। বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ছিঁড়ে গিয়েছে। তবে আগরতলা এবং তার আশেপাশে এলাকার ৯০শতাংশ বিদ্যুৎ পরিষেবা পুনরায় স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও দিনরাত পরিশ্রম করেছেন বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা। গ্রামীন এলাকাতেও বিদ্যুৎ পরিষেবাকে দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করে চলছেন নিগমের কর্মীরা। ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রাতের আঁধারেও কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সাধারণ মানুষদেরকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য। রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনের প্রায় সবটাই মাটির উপর দিয়ে ফলে ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহীর লাইন পরিবাহিত হলে এ ধরনের পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা চেয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে গোটা রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা আবার স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ