Advertisement

Responsive Advertisement

মিথিলি আবহে বিদ্যুতে সকলের সহযোগিতা ও কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস মন্ত্রী রতন লাল নাথ'র


আগরতলা, ১৭ নভেম্বর : সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে রাজ্যেও উপর দিয়ে প্রবল বেগে দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে রাজ্যবাসী সহযোগিতা এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এই বিষয়ে তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। 
প্রবল ঝড়ের কারণে রাজ্যের একাধিক জায়গায় গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। গাছপালা বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনের উপর ভেঙ্গে পড়ার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও পরিষেবাকে স্বাভাবিক রাখার জন্য এবং ঝড়ের কারণে যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে সেখানে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করে পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করে রাজ্য বাসীর কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি লিখেছেন - ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের উপর বাঁশ, গাছ ইত্যাদি ভেঙ্গে পড়া সহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রান্সফরমারও। হেলে পড়েছে খুঁটি। বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রকৌশলী, কর্মী, আধিকারিকরা বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড় মাথায় নিয়ে ময়দানে রয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে এর পরেও বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা যাচ্ছে না। আশাকরি আগামী কালকের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হবে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত স্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করছি।
একই ভাবে সামুদ্রিক ঝড় মিথিলির প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, যে কারণে বিভিন্ন ধরনের ফসলে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এ বিষয়ে তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, নিম্নচাপ জনিত কারণে সারা রাজ্যেই আজ অকাল বর্ষনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষেতি ফসল। কৃষকদেরই দুঃসময় কৃষি দপ্তর তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছে। ইতিমধ্যেই দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি, অন্নদাতাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। আশা করি অন্নদাতা কৃষকেরা খুব তাড়াতাড়ি দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ