আগরতলা, ২৮ নভেম্বর: এডিসি এলাকায় এমজিএন রেগায় কাজ নেই বলে যা প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক। সম্প্রতি কিছু মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে এডিসি এলাকায় কাজ ও খাদ্যের অভাব রয়েছে। এনিয়ে রাজ্যবাসীকে সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আজ মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ সাংবাদিকদের একথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে এই পরিপ্রেক্ষিতে কৃষিমন্ত্রী মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের ১৪টি এডিসি ভিলেজের রেগার শ্রমদিবসের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের ১৪টি এডিসি ভিলেজের মধ্যে এবছর এখন পর্যন্ত হলুদিয়া ভিলেজ কমিটিতে গড়ে ১০০.৬৯ শ্রমদিবসের কাজ হয়েছে। তাছাড়া এই ব্লকেরই আঠারমুড়া ভিসিতে কাজ হয়েছে ৭৮.৪৩, রামকৃষ্ণপুর ভিসিতে কাজ হয়েছে ১১৪৪৭, তুইকর্ম ভিসিতে কাজ হয়েছে ১০৮.৬৬, নোনাছড়ায় কাজ হয়েছে ১১১.০১, কাকড়াছড়ায় কাজ হয়েছে ১০১৭১, দক্ষিণ গকুলনগরে কাজ হয়েছে ৭৭.৯০, দক্ষিণ মহারাণীতে কাজ হয়েছে ১০০.৮ 8, মহারাণীপুরে কাজ হয়েছে ৮.৪.২৫, মানিক দেববর্মা ভিসিতে ৭৬.৪১, নবিনজয় বাড়িতে ৮৫.৮৩, পূর্ব লক্ষ্মীপুরে ৮৮.২২, শ্রীরামখরা ভিসিতে ৮০, ১৫ এবং উত্তর গকুলনগর ভিসিতে ৭৯০৬ শ্রম দিবসের কাজ হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের ১৪টি ভিসির মধ্যে হলুদিয়া ভিসির আরও কিছু তথ্য তুলে ধরে জানান, হলুদিয়া ভিসির ৫০৭টি পরিবারের মধ্যে ৩০৯টি পরিবারকে বিনামূল্যে মাথাপিছু ৫ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। ৫০৭টি পরিবারের মধ্যে ২৮৩ পরিবারকে আবাস দেওয়া হয়েছে। জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে ২৩৩টি বাড়িতে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি গত ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ রাজ্যের কয়েকটি সংবাদপত্রে অভাবের তাড়নায় শিশু বিক্রির ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই শীর্ষক সংবাদের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা খোয়াই জেলার জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই অনুসারে খোয়াই জেলার জেলাশাসক এবং তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসন তৎপরতার সাথে ঘটনার তদন্ত করে। অবশেষে তেলিয়ামুড়ার পুলিশ মহকুমা প্রশাসন, সিডিপিও এবং চাইল্ড লাইনের সহায়তায় গত ২৪ নভেম্বর রাতেই শিশু সন্তানটিকে করবুক মহকুমার পশ্চিম করবুক এডিসি ভিলেজের লক্ষ্মণপাড়ার জনৈক রণজিৎ ত্রিপুরার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে তার পিতা মাতার কাছে তুলে দেওয়া হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে শিশুটি ও তার মা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিশুটির শারীরিক অবস্থা সন্তোষজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খোয়াই জেলার জেলাশাসক মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে মহকুমা হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছেন। তাছাড়াও জেলাশাসক খোয়াই জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে প্রতি দু'দিন অন্তর অন্তর মা ও শিশুটির বিষয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই জুমিয়া এই পরিবারটিকে আরওআর, রেশন কার্ড এবং এমজিএন রেগার কার্ড দেওয়ার জন্য ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জুমিয়া এই পরিবারকে জমির পাট্রা প্রদান ও ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবাস দেওয়ার বিষয়টি প্রশাসনের বিবেচনায় রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ