স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুসারে মোহন মিয়ার ছেলে কাসেম মিয়া স্বপ্নে কালীকে পেয়েছিলেন। তারপর থেকেই কাশেম নিজ বাড়িতেই কালী মন্দির স্থাপন করেন এবং প্রতিবছর দীপাবলীর রাতে সেই মন্দিরে দেবীর পূজার আয়োজন করা হয়।
প্রথমে বিষয়টি তাদের পারিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। মূলত লোক লজ্জা, ধর্মীয় গ্লানি এবং বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে এ সকল দ্বন্দ্বের কারণেই বিষয়টি এক প্রকার লুকানো ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় ধীরে ধীরে স্থানীয় মানুষ বিষয়টি জেনে ফেলেন এবং সুন্দর ভাবে সকলে তা মেনেও নেন। তাই মুসলিম বাড়ির কালী পূজায় এখন এলাকার প্রায় সবাই উপস্থিত থাকেন।
এবছরও সম্পূর্ণ হিন্দু ধর্মীয় রীতিতে মোহন মিয়ার বাড়ির কালী মন্দিরে পূজা হয়েছে। সেই পূজাতে এলাকার উভয় অংশের মানুষের সমাগম হয়েছিল। মোহন মিয়ার বাড়িতে কালী মন্দির থাকলেও তিনি নিজে মুসলিম হিসেবে ইসলাম রীতি নীতি পালন করেন এবং নামাজ আদায় করেন। এমনকি তার ছেলে কাসেম মিয়া যার উদ্যোগে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সে সহ পরিবারের কোনো সদস্যই তাদের ইসলাম ধর্ম পরিবর্তন করেননি। খয়েরপুরের পশ্চিম নোয়াবাদীর মুসলিম বাড়ির কালী পূজার ঘটনা ধর্মীয় ভাব আবেগের উর্ধ্বে ভক্তি প্রদর্শনের এক ভিন্ন দৃষ্টান্ত হিসেবে সবার সামনে উঠে এসেছে।
0 মন্তব্যসমূহ