আগরতলা, ২২ নভেম্বর : রাজ্যে ভালো মানের চা তৈরি হচ্ছে, বিশেষ করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই বিষয়টিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যার ফলস্বর চায়ের গুণগত মান উন্নত হয়েছে। গুণগত মান ভালা হওয়া সত্ত্বেও দেশীয় বাজার বা আন্তর্জাতিক বাজারে রাজ্যের চা তেমন বেশী প্রভাব ফেলতে পারেনি এখনও। এর মূল কারণ হচ্ছে গুণগত মান ভাল হওয়া সত্ত্বেও চা পাতার পেকেজিং ততটা আকর্ষণীয় হচ্ছে না। এই বিষয়টি দূর করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন ত্রিপুরার চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান এডভোকেট সমীর ঘোষ। তার উদ্যোগে রাজ্যে প্রথমবারের মতো চা পাতার প্যাকেজিং এর উপর তিনদিন ব্যাপী এক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই কর্মশালায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্যাকেজিংয়ের কলকাতা শাখা থেকে একাধিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের বড় মাঝারি এবং ছোট চা উৎপাদক বিশেষ করে যারা প্যাকেটজত চা বিক্রি তৈরি ও বিক্রি করেন তাদেরকেও নিয়ে আসা হয়। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্যাকেজিংয়ের বিশেষজ্ঞরা এই কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারী সকল চা উৎপাদকদেরকে গুণগত মানসম্পন্ন এবং আকর্ষণীয় চায়ের প্যাকেজিং করার কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। রাজধানীর কুঞ্জবন এলাকার গীতাঞ্জলি গেস্ট হাউসে প্রথম দুদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার কর্মশালা শেষ দিন বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন করে দেখবেন।
রাজ্যে প্রথমবার আয়োজিত এমন একটি কর্মশালা চা উৎপাদকদের ব্যাপক উৎসাহিত করেছে। এই কর্মশালা আয়োজন করার জন্য তারা রাজ্য চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান এডভোকেট সমীর ঘোষকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। এই কর্মশালায় সহায়তা করেছে টী বোর্ড অফ ইন্ডিয়া।
0 মন্তব্যসমূহ