Advertisement

Responsive Advertisement

মলয় নগরের অত্যাধুনিক ফিশ ইয়ার্ডে স্বাভাবিক ছন্দে কাজ চলছে : মেয়র

আগরতলা, ৯ নভেম্বর: আবারো আগরতলার পার্শবর্তী মলয়নগর এলাকার অত্যাধুনিক ফিস ইয়ার্ড পরিদর্শন করলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে বলা হয়েছিল অত্যাধুনিক এই ইয়ার্ডটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তা দেখতেই এদিন মেয়র নিজে গেলেন সেখানে। 
রাজধানী আগরতলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কথা চিন্তা করে শহরের বাইরে মলয়নগর এলাকায় সর্বসুবিধায় যুক্ত অত্যাধুনিক ফিস ইয়ার্ড গড়ে তোলা হয়। আগরতলা পুর নিগমের উদ্যোগে তৈরি এই ফিশ ইয়ার্ডটিকে দূর্গাপূজার আগে উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। তারপর থেকেই ভিনরাজ্য থেকে মাছ নিয়ে আসা বড় বড় গাড়িগুলো ইয়ার্ডে চলে যেত এবং সেখান থেকে ছোট ছোট গাড়িতে করে রাজধানী সহ অন্যান্য জায়গায় ব্যবসায়ীদের কাছে মাছ সরবরাহ করা হতো।
কিন্তু এই ব্যবস্থা কয়েকদিন চলার পর একাংশ ব্যবসায়ী অন্য রাজ্য থেকে মাছ নিয়ে আসা বড় ট্রাকগুলিকে নির্ধারিত ইয়ার্ডে না পাঠিয়ে আগরতলা শহরে নিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। এই বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার মলয় নগর এলাকার ফিস ইয়ার্ড পরিদর্শন করলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার নিজেই। সেখানে গিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট অধিকারীকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দুর্গাপূজার সময় প্রতিবছর মাছের চাহিদা হঠাৎ করে বৃদ্ধি পায়। তখন মাছ পরিবহনে যাতে সুবিধা হয় এই বিষয়টি চিন্তা করে তখন কয়েকজন ব্যবসায়ীদের তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল শহরে মাছের ট্রাক নিয়ে আসার অনুমতি জন্য। কিন্তু পূজা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কিছু কিছু ব্যবসায়ী সরকারের নির্দেশিকা উপেক্ষা করে মাছবাহি বড় বড় ট্রাকগুলোকে আগরতলা শহরে নিয়ে আস ছিলেন বলে তাদের কাছে অনেকে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিনি এদিন পরিদর্শনে যান। সেখানে অবস্থানরত ব্যবসায়িক ট্রাক ড্রাইভারসহ অন্যান্য লোকেদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তারা জানিয়েছে নতুন এই জায়গায় গাড়ি রাখার জন্য যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে তা তুলনামূলক বেশি, তাই ব্যবসায়ীদের দাবি ফি কিছুটা কমানোর। ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময় আলোচনা করা হবে বলে জানান মেয়র। সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন দূরপাল্লার মাছের বড় ট্রাকগুলোকে কোন ভাবেই শহরে নিয়ে আসা যাবে না। যদি কেউ এই আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ