গণ্ডাছড়া, ২১ নভেম্বর: মা ও মেয়ের হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রামবাসীর হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার অম্পিনগর থানা চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে। ক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস চালাতে হয়। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ শুন্যে গুলিও ছুড়েছে।
রাজ্যের গোমতী জেলার অম্পিনগর থানাধীন তিনঘড়িয়ার বাসিন্দা যুগলকিশোর জমাতিয়ার স্ত্রী এবং মেয়ে খুনের তদন্তে নেমে এই মামলায় মূল অভিযুক্ত বিজয়সিং জমাতিয়াকে মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ অভিযুক্ত গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তে তিনঘড়িয়ার এলাকার জনগণ বীরগঞ্জ থানা ঘেরাও করে৷
তাদের দাবি অভিযুক্তকে তাদের হাতে তোলে দিতে হবে৷ এলাকাবাসী থানা চত্বরে তুমুল হইচই শুরু করে দেন৷ এর জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ এক সময় পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে৷ জনতার একাংশের অভিযোগ পুলিশ শূন্যে গুলিও ছুঁড়েছে।
এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে অম্পিনগর থানাধীন তিনঘরিয়ার এলাকার দিনমজুর যুগলকিশোর জমাতিয়ার স্ত্রী রূপেশ্বরী জমাতিয়া এবং তার মেয়ে যশোদারানি ত্রিপুরা খুনকাণ্ডের তথ্য পুলিশের হাতে লেগেছে৷ জানা গিয়েছে, অম্পিনগর থানাধীন তিনঘরিয়ার বাসিন্দা যুগলকিশোর জমাতিয়ার স্ত্রী ও মেয়ে যশোদারানিকে বিজয়সিং জমাতিয়া নামে এক ব্যক্তি৷
বিজয়সিং জমাতিয়ার বাড়ি গোমতী জেলার অন্তর্গত বুরবুড়িয়ায় এলাকায়৷ কর্মসূত্রে বিজয়সিং অমরপুর মহকুমার চণ্ডীপাড়ায় একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতো প্রায় একবছর আগে মোবাইল ফোনে বিজয়সিং এবং রূপেশ্বরীর মধ্যে প্রেম হয়৷ দুজনের পরকীয়ার কথা স্বামী যুগোলকিশোর জানতে পারলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি শুরু হয় বলে অভিযোগ৷
গত ২২ অক্টোবর অষ্টমীর বিকালে স্বামীকে কোনও কিছু না বলেরূপেশ্বরী জমাতিয়া মেয়ে যশোদাকে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়৷ ওইদিন মা মেয়ে এবং বিজয়সিং জমাতিয়া অমরপুরের বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেল দেখে রাতে চণ্ডীবাড়িস্থিত বিজয়সিং-এর ভাড়া বাড়িতে আসে ও আরো দুদিন থাকে।
এরপর ২৪ অক্টোবর মা ও মেয়েকে নিয়ে একটি বাইকে করে গণ্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত রইস্যাবাড়ি বাজারে পৌঁছে৷ সেখান থেকে মা ও মেয়েকে নিয়ে বিজয়সিং মা ও মেয়েকে হত্যার পর বস্তায় ভরে ডুম্বুর জলাশয়ে ভাসিয়ে দিয়েছিল৷
0 মন্তব্যসমূহ